থানা থেকে ঠিল ছোঁড়া দূরত্বে প্রবল বিস্ফোরণে (Explosion) কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের (Explosion) জেরে ৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ল এক শ্রমিকের দেহ। শুক্রবার সকালে এমন মর্মান্তিক ঘটনা দমদমের সিঁথির মোড়ে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Explosion) । এই বিস্ফোরণের (Explosion) জেরে আরও এক শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহত ব্যক্তির নাম শঙ্কর। জানা গিয়েছে, পুরনো তেলের ট্যাঙ্কার কাটার সময় এই বিস্ফোরণ (Explosion) ঘটে।
বিস্ফোরণের শব্দ ৭০০ মিটার দূর থেকে শোনা যায় স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। বিস্ফোরণের পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বলেন, এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এই এলাকাতেউ পুরনো তেলের ট্যাঙ্কার কাটার কাজ করা হচ্ছে। আগেও এই কাজ করতে গিয়ে এলাকায় আগুন লেগেছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, অবৈধ। কোনও সুরক্ষাবিধি না মেনে সেখানে কাটাইয়ের কাজ চলে। যার জেরে মাঝেমাঝেই নানা দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে। কখনও আগুন ধরে যায়, কখনও হয় বিস্ফোরণ।
শুক্রবার সকালে স্ক্র্যাপইয়ার্ড থেকে বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয়রা। ছুটে গিয়ে দেখেন, একটি বাতিল ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনার জেরে এক শ্রমিকের দেহ ৫০ মিটার দূরে গাছের ডালে দেহ ঝুলছে। দেহের তখন ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থা। আর এক শ্রমিকের দেহ ৫০ মিটার দূরে পড়ে রয়েছে। তখন ওই শ্রমিক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত আহত শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম সাগর।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এখানে কাটাইয়ের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ। কোনও সুরক্ষাবিধি মানে না এরা। এই জায়গায় একটা পুকুর ছিল। সেটা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। থানার সামনে এতবড় বেআইনি কাজ চললেও বাধা দেয় না পুলিশ।সিঁথি থানার নাকের ডগায় এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলকাতা কর্পরেশানের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাকুলী সেন। তিনি বলেন, কলকাতা পুরসভার অনুমতি নিয়েই কাজ চলছিল। এবার পুলিশ তদন্ত দেখুক কীভাবে কাজ চলছিল।
রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। অতীতেও পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা এই সব ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। আমার আশা তাঁরা নিশ্চিত করবে যাতে অবৈধ ভাবে কোনও ব্যবসা না চলে।”