ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ ঘিরে ফের তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। তবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এফআইআর করতে তাঁদের কিছুটা সময় প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আধিকারিকদের ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং বিভাগীয় প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে এফআইআর করার জন্য কমিশনের নির্দেশ মানতে রাজ্যের হাতে আরও কিছুটা সময় চাই।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, এখানকার সহকারী ইআরও তথাগত মণ্ডল, ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই কেন্দ্রের সহকারী ইআরও সুদীপ্ত দাস। তাঁদের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধেও এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তবে এবার দেখা যাক এফআইআর নিয়ে কমিশন (Election Commission) কী সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে সরব হয়ে বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলার সরকারি আধিকারিকদের নিশ্চিন্ত থাকতে হবে, তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার।