রাজ্যে এখনও বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরুর আগেই রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) মধ্যে সংঘাত যেন আরও প্রকট হয়ে উঠছে। একের পর এক বিষয়ে মতানৈক্য সামনে আসছে। বুধবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য সরকারকে আরেক ধাক্কা দিল কমিশন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) দফতরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যপদ পূরণে রাজ্য যে নামের তালিকা পাঠিয়েছিল, তা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন v। কমিশনের স্পষ্ট বক্তব্য—এই তালিকা পছন্দ নয়, নতুন তালিকা পাঠাতে হবে।
রাজ্য সরকার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Additional CEO) পদের জন্য পাঠিয়েছিল—বিশেষ সচিব সুদীপ মিত্র, বিধাননগর পুরসভার বিশেষ সচিব সুজয় সরকার এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ সরকারের নাম। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Joint CEO) হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরুন্ধতী ভৌমিক, স্টাফ সিলেকশন কমিশনের সচিব সৌম্যজিৎ দেবনাথ এবং স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব বহ্নিশিখা দে-র নাম। অন্যদিকে, উপ-মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Deputy CEO) পদের জন্য পাঠানো হয়েছিল বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব রঞ্জন চক্রবর্তী, বিধাননগরের ল্যান্ড ম্যানেজার রাজীব মণ্ডল এবং পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব প্রিয়রঞ্জন দাসের নাম।
কিন্তু বুধবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—এই নামগুলো গৃহীত হচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব নতুন তালিকা পাঠাতে হবে এবং শূন্যপদ দীর্ঘদিন ফাঁকা রাখা যাবে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন (Election Commission) রাজ্যের দুই নির্বাচনী অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করেছিল। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বুধবার দুপুরেই ঝাড়গ্রামের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন—কোনও সরকারি অফিসারকে সাসপেন্ড করা হবে না, এবং সরকার তাঁদের পাশে থাকবে। ফলে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য-কমিশন সংঘাতের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল।