দুর্নীতি মামলায় ফের অ্যাকশনে ইডি (Ed Raid)। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তল্লাশির মূল কেন্দ্র ছিল রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস (Ed Raid)। শুধু তাই নয়, তল্লাশি চলে তাঁর ছেলে সমুদ্র বসুর বাইপাস সংলগ্ন রেস্তোরাঁয়, ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিতাই দত্তের বাড়ি ও গোডাউনে।
পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার মোট ১৩টি জায়গায় একযোগে অভিযান চালায় ইডি (Ed Raid)। তদন্তকারীরা মন্ত্রীর অফিস থেকে শুরু করে তাঁর পারিবারিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র, ঘনিষ্ঠদের বাড়ি ও অফিস ঘুরে একের পর এক জায়গায় খোঁজ চালায়। বিপুল পরিমাণ নথি, জমি-সম্পত্তির দলিল, মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপসহ একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয় (Ed Raid)।
ইডি সূত্রে খবর, শুধু নথি নয়, উদ্ধার হয়েছে বিপুল নগদ অর্থ — প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। এই টাকাগুলি সুজিত বসু, তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের জায়গা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে।
২১ মাস পর ফের ইডির নজরে এলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। সূত্রের দাবি, তদন্তকারীদের হাতে এমন সব নথি এসেছে, যা সরাসরি পুরনিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ।
শুধু মন্ত্রী নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ ও আপ্ত সহায়ক নিতাই দত্ত, যিনি বর্তমানে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান, তাঁর বাড়িতেও শুক্রবার তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সেই সময় নিতাই দত্তের বাড়ি ও অফিস থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই যখন অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে, তখন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়ই পুরনিয়োগ সংক্রান্ত বেনিয়মের নথি পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই এই মামলায় নাম আসে একাধিক পুরসভার, যার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ দমদম পুরসভা।
অভিযোগ, যে সময় ওই পুরসভার নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছিল, তখন ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সুজিত বসু। পরে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী হলে, তাঁর ঘনিষ্ঠ নিতাই দত্ত ওই পদে বসেন। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই সময় থেকেই নিয়োগে দুর্নীতি এবং অর্থের লেনদেন চলেছিল পরিকল্পিতভাবে।
ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবারের তল্লাশিতে পাওয়া নথি ও অর্থ এই কেলেঙ্কারির তদন্তকে নতুন মোড় দিতে পারে। তদন্তকারীরা এখন বাজেয়াপ্ত ডিভাইস ও কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখছেন, কারা কারা এই চক্রে জড়িত।