দুর্গাপূজোর (Durga Puja) আগে রাজ্যজুড়ে বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এ বছর রাজ্যের সমস্ত ক্লাবকে আরও বেশি পরিমাণ অনুদান দেওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর ক্লাব প্রতি ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল, এবার সেই অনুদান বাড়িয়ে এক লাফে করা হল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রত্যেক ক্লাব এবার অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা পাবে দুর্গাপূজোর (Durga Puja) জন্য।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুজো (Durga Puja) নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি পুজোর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যানবাহনের পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেন প্রশাসনকে। একই সঙ্গে ঘোষণা করেন এই অনুদানের বিষয়টি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেকে বলে আমি নাকি পুজো (Durga Puja) করতে দিই না। কিন্তু বাংলার ঘরে ঘরে পুজো হয়। এমন কোনও পুজো নেই, যা বাংলায় হয় না। কিছু লোক কোর্টে যায়, প্রশ্ন তোলে কেন সরকার পুজোয় সাহায্য করে। কিন্তু এই উৎসবের সঙ্গে কত মানুষের রোজগার জড়িত! পাড়ার ছেলেমেয়েরা নিজেদের কাজ ফেলে দিয়ে ক্লাবের জন্য দিনরাত খেটে চলে। এটা শুধুই ধর্মীয় নয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বটে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহালয়ার আগেই তিনি পুজোর উদ্বোধনে নামবেন (Durga Puja)। আর সেই সময় থেকেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নজরদারিতে থাকতে নির্দেশ দেন তিনি। পুজোর সময় বাড়তি ভিড় সামলাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকে, সেই নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, আগামী ৫ অক্টোবর হবে দুর্গাপুজোর ঐতিহ্যবাহী কার্নিভাল (Durga Puja)। বিসর্জনের জন্য তিনদিন সময় দেওয়া হবে ক্লাবগুলোকে। এই সময় ঘাট ও ফেরিঘাটে নজরদারি, মোবাইল পেট্রোলিং, ওয়াচ টাওয়ার ও কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কথা বলেন তিনি।
এছাড়া পরিবহন ব্যবস্থা নিয়েও নির্দেশ দেন মমতা। বলেন, “পরিবহন দফতরকে বাড়তি গাড়ি চালাতে হবে। মেট্রোর সময় যেন বাড়ানো যায়, তার জন্য মুখ্যসচিব মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। লোকাল ট্রেনও যেন রাত পর্যন্ত চলে। হাসপাতালগুলোও প্রস্তুত থাকতে হবে।”
থিমের পুজোগুলো নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী সরব হন। বলেন, “ভিড় টানতে গিয়ে যেন কোনও স্ট্যাম্পেড না হয়। মানুষের জীবন নিয়ে যেন খেলাধুলা না হয়। শুধুমাত্র কিছু ক্লাবের পুজো না দেখিয়ে বাকিদের পুজোও প্রচারে আনুন। ৪৫ হাজার ক্লাবের পুজো হয় এ রাজ্যে। সবার কথা ভাবতে হবে।”