টানা কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গ কার্যত ভেসে গিয়েছে (Dumdum)। শহরের নানা জায়গায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ঘরের ভেতর পর্যন্ত জমেছে জল। এই জলেই ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। ঘুমন্ত অবস্থায় খাট থেকে গড়িয়ে পড়ে জমা জলে ডুবে মৃত্যু হল মাত্র ছয় মাসের এক শিশুকন্যার (Dumdum)। উত্তর দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকাজুড়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত শিশুর নাম ঋষিকা ঘোড়ুই (Dumdum)। বাবা পাপন ঘোড়ুই একজন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং মা পুজা ঘোড়ুই গৃহবধূ। টানা বৃষ্টিতে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। বাড়ির ভিতরেও ঢুকে পড়ে জল। সেই জলে পড়েই মৃত্যু হয় ঋষিকার (Dumdum)।
ঘটনার দিন মা পুজা ঘরের বাইরে ছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। শিশুটি ঘুমোচ্ছিল খাটে। আর সেই ঘুমের মধ্যেই কোনওভাবে গড়িয়ে পড়ে যায় জলে (Dumdum)। তখনই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরেও নিকাশির উন্নতি হয়নি। প্রতি বছর বর্ষায় একই ছবি দেখা যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্ত দাস। তিনি বলেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। এতটাই বৃষ্টি হয়েছে যে কিছুক্ষণের জন্য এলাকা সমুদ্রের মতো হয়ে যায়। ওদের ঘর রাস্তা থেকেও নিচু, ফলে জল আটকে পড়েছিল। শিশুটিকে প্রথমে পৌর হাসপাতালে, তারপর শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।”
যদিও তিনি এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, “প্রকৃতির বিরুদ্ধে আমরা কিছুই করতে পারি না। তবে আমি নিয়মিত জল জমা এলাকাগুলি পরিদর্শন করি।”
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। তাঁদের প্রশ্ন, “প্রতিবার বর্ষাতেই কেন শিশুরা মরবে? কেন আগে থেকে প্রস্তুতি থাকে না?” প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার ভূমিকা নিয়েও। একটি নিষ্পাপ শিশুর এমন করুণ মৃত্যুর পর এখন গোটা এলাকা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার জবাব চাইছে।