বাংলাদেশে (Bangladesh) লাগাতার হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। পাশাপাশি অন্যান্য সংখযালঘুদের (Bangladesh) ওপর অত্যাচার চলছে। বৌদ্ধ মন্দির, হিন্দুদের মন্দির সমানতালে ভাঙচুর চলছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সমন্বয়কের মুখে ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য শুনতে পাওয়া গিয়েছে। এমনকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh) প্রবেশদ্বারে ভারতের পতাকা রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার খ্যাতনামা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল সাহা বাংলাদেশী (Bangladesh) রোগী দেখা বন্ধ করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমন মন্তব্য করলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢাকার বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় ভারতের জাতীয় পতাকা পেতে রাখার ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবি পোস্ট করে চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা লিখেছেন, ‘BUET ইউনিভার্সিটির প্রবেশপথে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা! চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি। আগে দেশ, পরে রোজগার। আশা রাখবো সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্য চিকিৎসকরাও তাই করবেন।’
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ সাধারণ নাগরিক ভারতে চিকিৎসার জন্য আসেন। বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা থাকার কারণে বহু বাংলাদেশী নাগরিক কলকাতাতে চিকিৎসার জন্য আসেন। কলকাতার ওপর বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ চিকিৎসার জন্য নির্ভর করে। জটিল রোগে আক্রান্ত বহু বাংলাদেশিকে চিকিৎসা করাতে নিয়মিত কলকাতায় আসতে হয়। তবে বাংলাদেশে ক্রমেই ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে। প্রায়শই ভারত বিদ্বেষ মন্তব্য শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশীদের মুখে। সেখান থেকেই চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ভারত এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সহানুভূতিশীল। করোনা কালেও ভারত বাংলাদেশের নাগরিকদের মেডিক্যাল ভিসা বন্ধ করেনি।
অন্যদিকে, দুই দিন আগে একই ধরনের মন্তব্য শোনা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ও সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পর শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের সমস্ত ধরনের ভিসা বন্ধের দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশীরা চিকিৎসার করাচি, লাহোর কিংবা চিনে যাক। কিন্তু ভারতে আসার প্রয়োজন নেই।