তিনি না রাজ্য বিজেপির সভাপতি, না দলের কোনও সাংগঠনিক পদে রয়েছেন, না কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জায়গা পেয়েছেন। তবু বিজেপির অন্যতম চর্চিত নেতা তিনিই—দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কখনও তাঁর দল ছাড়ার গুঞ্জন, কখনও তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনার পারদ চড়েছে বারবার। তবে আজ সাংবাদিক বৈঠকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে সমস্ত জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন দিলীপ (Dilip Ghosh)।
সরাসরি জানিয়ে দিলেন (Dilip Ghosh), দলের সঙ্গে তাঁর কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি। বরং তিনি এখনও দলের অংশ, দলের দেওয়া গাড়ি ও সিকিউরিটিতেই চলাফেরা করেন বলে দাবি তাঁর (Dilip Ghosh)। দিলীপের কথায়, “দূরত্বর প্রশ্নই নেই। বিজেপির অফিস থেকে গাড়ি দিয়েছে। আমি যে সিকিউরিটি পাই, তাও দলের তরফেই দেওয়া হয়েছে।”
সেই সঙ্গে দলের প্রতি নিজের পুরনো আবেগ ও লড়াইয়ের ইতিহাসও মনে করিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, “আবেগ দিয়েই পার্টি দাঁড় করিয়েছি। ১৫০ জন কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। বাংলার লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি মানুষের মনে আগুন আছে। সেই আগুন নিভতে দেব না।”
দলের একাংশ থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছেন—এই জল্পনাকেও উড়িয়ে দিলেন সাবেক রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বরং ঘুরিয়ে নিজের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার দাবিও করলেন। দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন, “যাঁদের দাম নেই, তাঁরা রাস্তায় পড়ে থাকেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষের দাম আছে। আর দাম থাকবে, কারণ দিলীপ ঘোষের মধ্যে কোনও ভেজাল নেই।”
পুরনো ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের পাশে থেকেছেন বরাবর, এখনও তাঁদের ভরসার কেন্দ্র তিনি—এ কথাও প্রমাণ করলেন এদিনের ভঙ্গিতে। দিলীপ-ভক্ত বিজেপি কর্মীরা এখনও যেভাবে তাঁকে ঘিরে আস্থা রাখেন, তাতে তিনি যে দলের অন্যতম ‘মার্কেটভ্যালু’ সম্পন্ন নেতা, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
নিজের ভঙ্গিমায় এদিন নিজের ওজন ফের বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ—একদিকে তৃণমূল গুঞ্জন বন্ধ, অন্যদিকে বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীকরণে নিজের অবস্থান স্পষ্ট।