Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ঢাকুরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে ধোঁয়া, ছুটল দমকলের ইঞ্জিন
রাজ্য

ঢাকুরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে ধোঁয়া, ছুটল দমকলের ইঞ্জিন

dhakuria fire
Email :3

কলকাতার দক্ষিণের শান্ত ঢাকুরিয়া এলাকা জেগে উঠল ভোরবেলা আগুনের (Dakuria Fire) তাপে। সাতসকালে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়াল সমগ্র এলাকায়। বুধবার ভোর পৌনে ছ’টা নাগাদ ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের (Dakuria Fire)। মুহূর্তেই ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীরাও ছুটে যান ভেতরে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলকে।

খবর পেয়ে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল ব্যাঙ্কের দোতলার দিকে (Dakuria Fire)। আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও, দমকলকর্মীদের দ্রুত তৎপরতায় আগুনের গতিপথ থামানো সম্ভব হয়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুনের (Dakuria Fire) উৎস এখনও নিশ্চিত নয়, তবে প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার সময় ব্যাঙ্ক খোলেনি, ফলে কোনও কর্মী বা গ্রাহক তখন ভেতরে ছিলেন না। তাই বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলেই দমকল কর্মকর্তাদের মত।

ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক বলেন, “গ্রাহকদের কোনও নথির ক্ষতি হয়নি। মূলত আসবাবপত্রে আগুন লাগে। সোয়া ৬টা নাগাদ আমরা খবর পাই। এটিএমের নিরাপত্তারক্ষীরাই আগুন দেখতে পেয়ে জানায়।” তিনি আরও জানান, ব্যাঙ্কের সিস্টেম ও গ্রাহক-সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক গ্রাহক তন্ময় চট্টোপাধ্যায় জানান, “লকারের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে ব্যাঙ্ক জানিয়েছে। তবে সকাল দশটার পর বিস্তারিতভাবে জানা যাবে ঠিক কী কী ক্ষতি হয়েছে।” স্থানীয় আরও এক গ্রাহক বলেন, “শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে শুনেছি।”

আগুনের খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয় বাম কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব। তিনি বলেন, “খবর পেয়েই আমি আসি। জানতে পারি কেউ আহত হননি। দমকল দ্রুত পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করেছে।”

দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যাঙ্কের ক্ষতির পরিমাণ ও বৈদ্যুতিক ত্রুটির দিকেও নজর রাখা হয়েছে।

ভোরের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেলেও, প্রশ্ন উঠছে— শহরের ব্যাঙ্ক শাখাগুলির ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা কতটা কার্যকর?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts