Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • Death: মায়ের বিয়ে মন থেকে মানতে পারেনি… এবার মুখ খুললেন রিঙ্কুর প্রথমপক্ষের স্বামী
রাজ্য

Death: মায়ের বিয়ে মন থেকে মানতে পারেনি… এবার মুখ খুললেন রিঙ্কুর প্রথমপক্ষের স্বামী

Email :9

নিউটাউনের সাপুরজি আবাসন থেকে উদ্ধার হওয়া সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের (প্রীতম) মৃত্যুকে (Death) ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে অস্বাভাবিকতার ইঙ্গিত না মিললেও (Death), ছেলের অকালপ্রয়াণে স্বাভাবিক মৃত্যু (Death) মানতে নারাজ তাঁর বাবা রাজা দাশগুপ্ত।

মঙ্গলবার সকালে সৃঞ্জয়কে নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে। জানা গেছে, তিনি ছিলেন রিঙ্কু ঘোষের প্রথম পক্ষের সন্তান। রিঙ্কু বর্তমানে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর সময় সৃঞ্জয়ের অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ ছিল। হৃদযন্ত্র, লিভার ও কিডনির আকার স্বাভাবিকের তুলনায় বড় ছিল— যা উচ্চ রক্তচাপের ফলে হয়ে থাকে। তবে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অভিমত, এতে কোনও অস্বাভাবিকতার ইঙ্গিত নেই।

তবে ছেলের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মানতে পারছেন না রাজা দাশগুপ্ত। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। আমি মনে করি না, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু।” তাঁর দাবি, মায়ের বিয়ের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সৃঞ্জয়। মুখে কিছু না বললেও নিজের কষ্ট সে চাপা দিয়ে রেখেছিল।

রিঙ্কু ঘোষও জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে সবসময় তাঁর সঙ্গেই থাকতে চাইত। দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও সেই নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছিল।

রাজা দাশগুপ্ত বলেন, “আমার সঙ্গে তাঁর মায়ের বিচ্ছেদের পর ছেলেটা পুরোপুরি মায়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। ও একবার আমাকে বলেছিল, ‘বাবা, মা আবার একা হয়ে যাচ্ছে, তাই আমি একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’ মুখে খুশির কথা বললেও ওর ভিতরে কষ্ট ছিল।”

স্মৃতিচারণায় আরও বলেন, “ওর চেহারায় বা ব্যবহার দেখে কিছু বোঝা যেত না। খুব হাসিখুশি ছিল, কিন্তু মনে কষ্ট লুকিয়ে রেখেছিল। বিয়ের দিনও দিঘায় চলে যাওয়ার কথা বলছিল— সেটাই ছিল অস্বাভাবিক।”

এদিকে, দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, সৃঞ্জয়ের নেশা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা ছিল এবং কাউন্সেলিং চলছিল। ময়নাতদন্তের পূর্ণ রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

সৃঞ্জয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহলে। কিন্তু মৃত্যুর আসল কারণ এখনও রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশার আঁধারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts