Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • রাজ্যের শিক্ষা মহলে ভূকম্প! বৈঠকে গরহাজির উপাচার্যদের বিরুদ্ধে চরম সিদ্ধান্তের পথে রাজ্যপাল!
রাজ্য

রাজ্যের শিক্ষা মহলে ভূকম্প! বৈঠকে গরহাজির উপাচার্যদের বিরুদ্ধে চরম সিদ্ধান্তের পথে রাজ্যপাল!

cv ananda bose n
Email :4

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের প্রতি কঠোর অবস্থান নিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শনিবার রাজভবনে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ বৈঠকে অনুপস্থিত উপাচার্যদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এমনকি ভবিষ্যতে এই সমস্ত উপাচার্যদের জন্য রাজভবনের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন (CV Ananda Bose)।

শনিবারের ওই বৈঠকের জন্য রাজ্যের মোট ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজভবন থেকে (CV Ananda Bose)। আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল রাজ্যপালের তরফে নিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের কাছেও। তবে, বিতর্কের সূত্রপাত সেই আমন্ত্রণপত্র নিয়েই। কারণ, তাতে বৈঠকের বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। যার ফলে অনেকেই শেষমেশ উপস্থিত হননি।

রাজভবনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে মাত্র সাত জন অন্তর্বর্তী উপাচার্য (CV Ananda Bose) এবং দু’জন স্থায়ী উপাচার্য (বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের) উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা কোনওরকম তথ্য না দিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। আর এই অনুপস্থিতিকেই অসম্মানজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন রাজ্যপাল।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজভবনের তরফে উপাচার্যদের ‘কারণ দর্শাও’ নোটিস পাঠানো হয়েছে। রাজভবনের (CV Ananda Bose) তরফে সাফ জানানো হয়েছে— যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না মেলে, তবে রাজভবনে তাঁদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। ইতিমধ্যেই যাঁরা অনুপস্থিত, তাঁদের প্রবেশ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এখানেই থেমে নেই রাজ্যপাল। তাঁর প্রশ্ন— উপাচার্যরা কার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন? আচার্য নাকি রাজ্য সরকারের? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে সোজা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি। রাজভবনের এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের সম্পর্কের টানাপোড়েনকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন শিক্ষা মহলের বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে, ঠিক এই সময়েই, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি রয়েছে। তার ঠিক আগেই রাজ্যপালের এই বৈঠক ও কড়া বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের দাবি, শনিবারের বৈঠকে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত নিয়ম মেনে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের পদোন্নতি যেন আটকে না থাকে, সে দিকেও আইনি নজরদারি বজায় রাখতে বলেছেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে ফের তীব্র হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন একটাই— শিক্ষাঙ্গনে এই টানাপোড়েনের শেষ কোথায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts