একটি করে দিন যাচ্ছে, আর করোনা আক্রান্তের (Corona Virus) সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা সংক্রমণের (Corona Virus) ঢেউ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কপালে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১০৬ জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Corona Virus) আক্রান্ত হয়েছেন। এই নতুন সংক্রমণের জেরে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৮ জনে।
স্বাস্থ্য ভবনের সূত্র অনুযায়ী, এই দফায় পশ্চিমবঙ্গ দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমিত (Corona Virus) রাজ্য হয়ে উঠেছে। আক্রান্তের সংখ্যায় প্রথমে রয়েছে কেরল (১৪৮৭), তারপর দিল্লি (৫৬২), এরপরই পশ্চিমবঙ্গ (৫৩৮)।
অন্যদিকে, গোটা দেশের পরিস্থিতিও চিন্তাজনক। দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকার নতুন করে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে।
- সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্র জানিয়েছে—
- বাজার ও ভিড় এলাকায় যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে হবে।
- মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
- হাত ধুয়ে তবেই চোখ, নাক, মুখে হাত দিতে হবে।
- ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির প্রতি সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।
- এদিকে রাজ্য সরকারও সরব হয়েছে। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে—
- করোনা আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ‘স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-এ পাঠাতে হবে।
- যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা অন্য উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের উপর নজরদারি রাখতে হবে।
- কো-মরবিডিটির (যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি) সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।
- প্রয়োজনে উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
- রাজ্যের ফিভার ক্লিনিকগুলির পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী করতে হবে।
সব মিলিয়ে, রাজ্য এবং দেশ—দুই জায়গাতেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। প্রশাসন ও চিকিৎসা মহলের তরফে আবার সক্রিয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সতর্কতা অবলম্বনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
