কয়লা পাচারের পর এবার সরাসরি কয়লা চুরির তদন্তে নেমে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় একযোগে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid)। শুক্রবার ভোর থেকেই কলকাতা, সল্টলেক, পুরুলিয়া, আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদসহ নানা জায়গায় দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালানো হয়। একশোরও বেশি ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এই অভিযানে অংশ নেন। আর তল্লাশিতে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি টাকার নগদ টাকা, সোনার গয়না—যা তদন্তে নতুন মোড় আনতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে (ED Raid)।
ইডির সূত্রে জানা গেছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন বা PMLA–র অধীনেই এই বৃহৎ তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে (ED Raid)। মোট ২৫টি জায়গায় পশ্চিমবঙ্গে এবং ঝাড়খণ্ডে অন্তত ১৮টি জায়গায় এই মুহূর্তে তল্লাশি চলছে। কলকাতার সল্টলেকে দু’টি জায়গায় তল্লাশি বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের।
কয়লা পাচারের তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে সিবিআই–এর মাধ্যমে। পরে ইডি আলাদা তদন্ত শুরু করে আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে (ED Raid)। এর মধ্যেই উঠে আসে কয়লা চুরির অভিযোগ। তদন্তকারীদের দাবি, বৈধ ও অবৈধ খাদান থেকে কয়লা চালান জাল করে, একই চালান বারবার ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ কয়লা চুরি করা হয়েছে। সেই বেআইনি কয়লার টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে, কারা কারা যুক্ত—সবটাই খতিয়ে দেখছে ইডি। প্রভাবশালী কোনও মহলের নাম সামনে আসে কি না, সেদিকেও কড়া নজর রয়েছে (ED Raid)।
ঝাড়খণ্ডে অনিল গোয়েল, সঞ্জয় উদ্যোগ, এলবি সিং এবং অমর মণ্ডলের বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে অভিযান মিলিয়ে ইডি ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকার নগদ এবং সোনার গয়না উদ্ধার করেছে। তদন্তকারীদের ধারণা, এই উদ্ধার ভবিষ্যতের আরও বড় জাল উন্মোচন করতে চলেছে।












