মাঝরাতে শতাব্দী প্রাচীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) গার্লস হোস্টেলের ছাদ থেকে হঠাৎই ভেঙে পড়ে চাঙড় ও লোহার বিম। শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে ভোগেন হোস্টেলে থাকা ছাত্রীরা (Calcutta University)। সৌভাগ্যবশত বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।
ছাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই হোস্টেলের (Calcutta University) ভেতরের পরিকাঠামো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বারবার জানানো সত্ত্বেও সংস্কারের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তার ফলেই আজ এই বিপদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেদুয়া গার্লস হোস্টেলে মোট ৭৫ জন ছাত্রী থাকেন। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের অন্য হোস্টেল কিংবা গেস্ট হাউসে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে ছাত্রীরা পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, কীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে তাঁরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন।
এক ছাত্রী জানিয়েছেন, “ঘুমিয়ে ছিলাম। আচমকা একটা বিকট শব্দ হয়। দেখলাম চাঙড় আর লোহার বিম ভেঙে পড়েছে । কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গেছি । এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না!” অনেকে আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বলেও জানিয়েছেন ছাত্রীরা।
ঘটনার পর হোস্টেলের গেটে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে, যাতে ভিতরে থাকা ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়— এমনই দাবি কর্তৃপক্ষের। কিন্তু ছাত্রীদের পাল্টা অভিযোগ, তাঁরা এখন কার্যত আটকে পড়েছেন। বাইরে বেরনোর উপায় নেই। সামনে পরীক্ষা, সেই চাপও তাঁদের মধ্যে বাড়ছে। তাঁরা চাইছেন অবিলম্বে নিরাপদ ও স্থায়ী থাকার ব্যবস্থা করে দিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পুরনো গার্লস হোস্টেলের এমন বেহাল অবস্থায় একদিকে আতঙ্ক, অন্যদিকে ক্ষোভ জমেছে ছাত্রীদের মধ্যে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই হোস্টেলের অবস্থার কথা জানিয়ে আসছি, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন?”