Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • “তামিল বা গুজরাটি নয়, শুধু বাঙালিরাই বিদেশি?” হাইকোর্টে উত্তপ্ত শুনানি, উঠল জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ!
রাজ্য

“তামিল বা গুজরাটি নয়, শুধু বাঙালিরাই বিদেশি?” হাইকোর্টে উত্তপ্ত শুনানি, উঠল জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ!

Calcutta High court
Email :16

ওড়িশায় বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তা ও বিদেশি সন্দেহে আটকের অভিযোগ নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়—এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁদের (Calcutta High Court) কথায়, “বাঙালি বলেই কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।”

অন্যদিকে, মামলাকারী তরফে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি (Calcutta High Court) তীব্রভাবে প্রশ্ন তোলেন, “তাহলে বলুন, তামিল বা গুজরাটি কতজনকে একইভাবে আটক করা হয়েছে? কেন শুধু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদেরই নাগরিকত্ব যাচাই করা হচ্ছে?” তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০ জন বাঙালি শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। কীসের ভিত্তিতে এই সন্দেহ, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

ওড়িশা সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল পি আচার্য এ নিয়ে পাল্টা সাফাই দিয়ে বলেন, (Calcutta High Court) “বাঙালিদের বিভ্রান্ত করবেন না। বাঙালিরা আমাদের ভাই, প্রতিবেশী। আমাদের প্রধান বিচারপতি নিজেও বাংলার। এখানে বাঙালি-অবাঙালি ইস্যু নয়, বরং এদেশের নাগরিক কি না, সেটাই আইন অনুযায়ী যাচাই করা হচ্ছে।”

আদালতও এদিন ওড়িশা সরকারের বক্তব্য নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করে। বিচারপতিরা (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ দেন, আটক না গ্রেফতার—ঠিক কী হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য লিখিত হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। বিচারপতিরা বলেন, “এটা নিশ্চিত করতে হবে, আইন মেনে নাগরিক যাচাই হচ্ছে নাকি জাতিগত পরিচয় লক্ষ্য করেই বাছাই করা হচ্ছে।”

ওড়িশার এজি (Calcutta High Court) বলেন, “এটা কোনও গ্রেফতার নয়। ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী, যাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। একে অন্য কিছু বলে দেখানোর চেষ্টা ঠিক নয়।”

এর জবাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “যাঁরা দিনের পর দিন পরিশ্রম করে ওড়িশার পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, নির্মাণে কাজ করছেন, তাঁরাই হঠাৎ বিদেশি হয়ে গেলেন? কোন যুক্তিতে?”

এই বিতর্কের মধ্যেই এজি পি আচার্য বলেন, “এই ইস্যুকে বিভাজনের হাতিয়ার করবেন না। বরং পুরীতে নিমন্ত্রণ রইল, এসে দেখে যান কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই থাকছেন।”

আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ আগস্ট। ওই দিন ওড়িশা সরকারকে বিশদ হলফনামা জমা দিতে হবে, যেখানে স্পষ্ট করে জানাতে হবে কতজনকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে এবং এখন তাঁদের অবস্থান কী।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল, ওড়িশার পুরী ও সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে পশ্চিমবঙ্গের বহু শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। সেই অভিযোগ হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এই মামলা দায়ের হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts