মানিকচক থানার রোজমেরি মিশনারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শ্রীকান্ত মণ্ডলের রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল আদালত (Calcutta High Court)। ছাত্রের পরিবার দেহ আনতে খরচ বহনের ইচ্ছাপ্রকাশ করায়, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন—তদন্তকারী অফিসার পরিবারের খরচে দেহ কল্যাণীতে নিয়ে আসতে পারবেন। সেই দেহ বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই কল্যাণীতে আনতে হবে বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি (Calcutta High Court)।
তবে এই দেহ যখন দ্বিতীয়বারের জন্য ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে, তখন সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তকারী অফিসার কিংবা পরিবারের কোনও সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আদালতের (Calcutta High Court) কড়া নির্দেশ। তবে সমস্ত ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে—এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট যদি আগের রিপোর্টের সঙ্গে বিরোধ দেখায়, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে তদন্তকারী অফিসারকে (Calcutta High Court)। পাশাপাশি, আদালত জানিয়েছে যে, তদন্ত হস্তান্তর কিংবা অন্য কোনও দাবি থাকলে ভবিষ্যতে নতুন করে আবেদন জানাতে পারবে শ্রীকান্তের পরিবার।
এই ঘটনাটি ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। চলতি মাসের ২ তারিখ রাতে মানিকচকের রোজমেরি মিশনারি স্কুলের হোস্টেল থেকে রহস্যজনকভাবে শ্রীকান্ত মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করে, ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত ছাত্রের বাবার সন্দেহ, ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সত্য গোপন থাকতে পারে বলেই তিনি অভিযোগ তোলেন।
এখন আদালতের নির্দেশে নতুন করে শুরু হতে চলেছে তদন্তের দ্বিতীয় অধ্যায়। আর সেই অধ্যায়ের পরেই হয়তো সামনে আসবে শ্রীকান্তের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য।