বিধানসভায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) উঠল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান—এই বিষয়ে কি কেন্দ্র ও রাজ্যের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য? যদি হয়, তবে এই মামলা শোনার আদৌ কি প্রয়োজন আছে?
শুভেন্দু অধিকারী আদালতে (Calcutta High Court) অভিযোগ করেছিলেন, তিনি বিধানসভায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হোক। এই প্রেক্ষিতে আদালত (Calcutta High Court) জানতে চায়, বিধানসভার কোন বিজ্ঞপ্তি বর্তমানে কার্যকর—২০২১ সালের পুরনো নাকি ২০২৪ সালের নতুন বিজ্ঞপ্তি? এই বিষয়ে আদালত বিধানসভার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়।
রাজ্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে (Calcutta High Court) জানান, নতুন ২০২৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম বলবৎ রয়েছে। তাঁর কথায়, কাউকে ‘জামাই আদর’ দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বিচারপতি পাল্টা বলেন, “ঠিক এই অভিযোগটাই তো আপনাদের বিরুদ্ধে রয়েছে।”
এজি কিশোর দত্ত আরও জানান, শুভেন্দুর অভিযোগ একটি দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেদিন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের বিধানসভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ২০২১ সালের বিজ্ঞপ্তির জায়গায় এখন ২০২৪-এর নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, যাতে স্পষ্টভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের নিরাপত্তারক্ষীদের গতিবিধি একটি নির্দিষ্ট স্তরের পর নিয়ন্ত্রিত।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “আপনারা যদি উভয়ের জন্য একই নিয়ম রাখেন, তাহলে এই মামলার আর প্রয়োজন কী? নির্দিষ্ট জায়গার পর তো প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ব নিজের মতো পালন করবেন।”
তবে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর দাবি, বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষীরা লবিতে অবস্থান করতে পারেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই মূল আপত্তি।
এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে—বর্তমানে ঠিক কোন বিজ্ঞপ্তিটি কার্যকর রয়েছে এবং সেটি কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের ক্ষেত্রেই কতটা সমানভাবে প্রযোজ্য।