শীর্ষ আদালত বুধবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে দুই হাজার পঁচিশ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পুরনো প্রার্থীদের সঙ্গে নতুন প্রার্থীদের একসঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কেন এই নির্দেশ দেওয়া হয়নি, সেই ব্যাখ্যাও পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছে আদালত। এই পরিস্থিতিতে এবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতে চলেছেন নতুন প্রার্থীরা।
শুক্রবার পৃথক পরীক্ষার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) সওয়াল করবেন ফ্রেশাররা। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। সেখানেই তাঁদের আইনজীবীরা জোরালোভাবে দাবি তুলবেন, নতুন প্রার্থীদের জন্য আলাদা নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।
ফ্রেশারদের একাংশের বক্তব্য, সংবিধানের ষোলো নম্বর ধারায় সব নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা রয়েছে। কিন্তু এখানে সেই ন্যায্যতা মানা হচ্ছে না। কারও ক্ষেত্রে একশো নম্বরের পরীক্ষার ভিত্তিতে মেরিট তালিকা তৈরি হচ্ছে, আবার কারও নব্বই নম্বরের পরীক্ষার ভিত্তিতে মেরিট গঠন করা হচ্ছে। এই দ্বিচারিতা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলেই তাঁদের দাবি। তাঁদের প্রশ্ন, দুই হাজার ষোলো সালের যাঁরা প্রার্থী ছিলেন, তাঁদের জন্য কেন নতুন প্রার্থীদের বলি হতে হবে (Calcutta High Court)।
এই আবহে নতুন বনাম পুরনো বিতর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রশ্ন উঠছে, এই বিতর্কে ফের কি ধাক্কা খেতে পারে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, সমস্ত নিয়ম মেনেই পরীক্ষা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য একদিকে যেমন পুরনো প্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তেমনই নতুনদের দিকেও মানবিক অবস্থান রয়েছে। তাঁর মতে, আদালত বা বিচারপতি বদলালেও আইন বদলায় না। আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতেই রাজ্য সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে নতুন বনাম পুরনো বিতর্কে বিরোধীদের আক্রমণেও পাল্টা জবাব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে কেন পুরনোদের সঙ্গে নতুনদের একসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া হল। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পুরনোদের কারণে নতুনরা যেন বিপদে না পড়ে। এই ইঙ্গিতের পরই নতুন প্রার্থীদের আইনি লড়াই আরও তীব্র হয়ে উঠল।











