Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “আইনজীবীর লাইসেন্স কেড়ে নিয়েছিলেন ট্রাফিক পুলিশ”—এরপর যা বলল আদালত, তাতে তোলপাড় শহর
রাজ্য

“আইনজীবীর লাইসেন্স কেড়ে নিয়েছিলেন ট্রাফিক পুলিশ”—এরপর যা বলল আদালত, তাতে তোলপাড় শহর

calcutta high court
Email :5

রাস্তায় বেরোলেই ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে চালকদের বচসা—এ যেন শহুরে জীবনের অঙ্গ! গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া, মাঝ রাস্তায় গাড়ি আটকে দেওয়া—নিত্যদিনের পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু এবার সেই পরিচিত দৃশ্য নিয়েই উঠল গুরুতর প্রশ্ন। এক আইনজীবীর দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়ে দিল, যদি কোনও ট্রাফিক পুলিশ বেআইনিভাবে গাড়ির লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেই নেওয়া যেতে পারে আইনি পদক্ষেপ।

এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানায়, ট্রাফিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশের প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশকে এই বিষয়ে অবিলম্বে উদ্যোগী হতে হবে (Calcutta High Court) । ট্রাফিক বিধি কার্যকরের সময় কী কী নিয়ম মানা উচিত এবং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করার সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া কী, সে বিষয়ে স্পষ্ট দিশা থাকা জরুরি বলেই মত হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ।

এই মামলা শুরু হয় এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগের ভিত্তিতে (Calcutta High Court) । গত বছরের মার্চ মাসে কলকাতার এজেসি বোস রোড ও খিদিরপুর রোডের সংযোগস্থলে এক আইনজীবীর গাড়ি থামিয়ে দেন ট্রাফিক পুলিশ। অভিযোগ, কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হয়। আইনজীবী এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন। যদিও সেই লাইসেন্স পরবর্তীতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি আদালত, তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই আদালতের এই কড়া পর্যবেক্ষণ (Calcutta High Court) ।

শুধু প্রশিক্ষণের কথাই নয়, ট্রাফিক পুলিশের আচরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছে, আইন রক্ষা করতে গিয়ে যেন কোনও পুলিশকর্মী আইন ভঙ্গ না করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে শালীন, দায়িত্বশীল এবং পেশাদার আচরণ করার বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই রায়ের কপি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক)-এর কাছে পাঠাতে হবে। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ রাজ্য প্রশাসনের কাছে কড়া বার্তার শামিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts