চাকরি হারানো ‘অযোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ ফের হাইকোর্টের (Calcutta High Court) শরণাপন্ন হলেন। ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে, আগামী ৩০ মে নতুন করে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। সেই আবহেই ‘নট স্পেসিফিক্যালি টেন্টেড’ তালিকাভুক্ত বহু শিক্ষক দাবি (Calcutta High Court) করলেন—তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ না থাকলেও স্কুলে ঢুকতে পারছেন না, বন্ধ হয়েছে বেতনও। আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে তাঁরা পৌঁছান কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি v পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে।
কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) জানান, বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এবং সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন বেঞ্চ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, তাঁদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছে না, অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিতও হয়নি। এই অবস্থায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা ছাড়া আর উপায় নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বুধবার সকালে কলকাতার হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় চাকরিচ্যুত একাংশ ‘অযোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। পরে পুলিশ এসে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তোলে।