বাংলা-সহ চার রাজ্যে উপনির্বাচনের (By-Election) দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ভোটের (By-Election) দামামা বাজল পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র সহ গুজরাত, কেরল এবং পঞ্জাবের আরও চারটি আসনে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৯ জুন, ফলপ্রকাশ ২৩ জুন, সোমবার। ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, এই উপনির্বাচন কার্যত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক তাপমাত্রা মাপার প্রথম মঞ্চ।
নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য ছিল। তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান বিধায়ক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। ৭০ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। সেই থেকে টানা তিন মাস ধরে কালীগঞ্জ কেন্দ্র ছিল বিধায়কহীন (By-Election)।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে বারবার ‘প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে’ জানিয়ে দিন ঘোষণায় বিলম্ব ঘটছিল। তবে বিরোধীদের একাংশ এই দেরি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছিল— ইচ্ছাকৃতভাবে কি ভোট (By-Election)পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছিল শাসক দলের সুবিধার্থে? অবশেষে ১৯ জুন দিন ধার্য হয়েছে উপনির্বাচনের, কিন্তু বিতর্ক এখনো স্তিমিত নয়।
কালীগঞ্জ ছাড়াও উপনির্বাচনের মুখে গুজরাতের বিসাবদর ও কাদি কেন্দ্র। কাদির বর্তমান বিধায়ক সম্প্রতি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কেরলের নিলম্বুর ও পঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম আসনেও ভোট হবে একই দিনে। পাঁচটি রাজ্যের পাঁচটি আসনে এই উপনির্বাচন শুধুই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের ভোট নয়— বরং এগুলিই হতে পারে বিধানসভা ভোটের আগে জনমতের প্রথম সিল।
বলাই বাহুল্য, কালীগঞ্জ উপনির্বাচন তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোট— প্রত্যেকের কাছেই অগ্নিপরীক্ষা। মৃত্যুর পর সহানুভূতির হাওয়া কাজে লাগাতে মরিয়া শাসক দল। অন্যদিকে, বিজেপি চাইছে লোকসভার গেরুয়া সাফল্যকে বিধানসভায় মুদ্রিত করতে। বাম-কংগ্রেসও পিছিয়ে নেই— এটাই তাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এক একটি উপনির্বাচন এখন কেবল একটি কেন্দ্রের প্রতিনিধি বাছাই নয়— বরং এক একটি কৌশলগত ময়দান, যেখানে পরবর্তী ভোটের রণনীতি পরীক্ষা করে নিচ্ছে সব পক্ষই।