কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্তকে ফের প্রকাশ্যে আক্রমণ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তীকে সেন্সর করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সরাসরি উপাচার্যের দিকে আঙুল তুললেন। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি (Bratya Basu) কটাক্ষ করে বলেন—“কাক ময়ূরের পুচ্ছ পরলেই ময়ূর হয়ে যায় না।” তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বশে অভিরূপকে সেন্সর করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu) বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। জাতীয় স্তরের র্যাঙ্কিং দেখালেই বোঝা যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তার পরও ছাত্রদের আলাদাভাবে টার্গেট করা হচ্ছে, প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে। এটা ছাত্রসমাজের কাছে দুশ্চিন্তার বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কলঙ্ক। তাঁর কথায়—সে কেয়ারটেকার উপাচার্য হোক বা যেই হোক না কেন, এই আচরণ মানা যায় না।
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ব্রাত্য বসু শান্তা দত্তকে ‘টুনটুনি-ময়না’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন (Bratya Basu)। এমনকি অভিযোগ তুলেছিলেন, রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস তাঁকে বিশেষভাবে স্নেহ করেন।
সবকিছুর শুরু পরীক্ষার সূচি নিয়ে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিনে পরীক্ষা না করার অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই অনুরোধ মানেননি শান্তা দত্ত। এর পর থেকেই ছাত্র সংগঠন এবং শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষোভ জমতে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিরূপ চক্রবর্তী প্রকাশ্যে উপাচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি শান্তা দত্তকে ‘রাক্ষসী’ বলেও অপমান করেন।
কিছুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিরূপকে সেন্সর করা হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজকর্ম থেকে তাঁকে বিরত থাকতে হবে। আর এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই ফের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানুতর। একদিকে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষোভ, অন্যদিকে উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত—সব মিলিয়ে জোরদার বিতর্ক তৈরি হয়েছে।