বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতির দায়িত্বে এলেন শমীক ভট্টাচার্য। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই শমীক জানিয়ে দিলেন, বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কিন্তু তার পরেই বড় প্রশ্ন—এই রাজনৈতিক আবেগ বাস্তবে কতটা শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে (BJP)? কারণ, সদ্যসমাপ্ত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বলছে এক অন্য ছবি।
চব্বিশের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল পেয়েছে প্রায় ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ভোট। সেখানে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ভোট। এই দুইয়ের মধ্যে প্রায় ৪২ লক্ষ ভোটের বিশাল ব্যবধান, যা কি না বিধানসভা জয়ের রাস্তায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে (BJP)। এই ফারাক কীভাবে মেটানো সম্ভব—এখন সেই হিসাবেই ব্যস্ত গেরুয়া শিবির।
শুক্রবার, সল্টলেকের বিজেপি রাজ্য দফতরে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (BJP)। উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে ও সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। দলের বিভিন্ন মোর্চা ও সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ডেকে পাঠানো হয়। তাদের কাছ থেকেই চাওয়া হয় ভোটের অঙ্কের বিশ্লেষণ, ভবিষ্যতের রূপরেখা ও ভোটব্যবধান ঘোচানোর কৌশল।
বুথ স্তরে দলের অবস্থা, মোর্চা ও সেলের কর্মক্ষমতা, সাংগঠনিক দুর্বলতা—সব কিছু নিয়েই চলে আলোচনা। একাধিক মোর্চার কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তো আগে থেকেই ছিল, এদিন শমীক সাফ জানিয়ে দেন, আর সময় নেই। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখনই ঝাঁপাতে হবে। দলকে আরও সক্রিয় করতে মোর্চা ও সেলগুলিকে মাঠে নামার বার্তা দেন তিনি।
বিজেপির অন্দরমহলের মতে, ভোটব্যবধান যতই থাকুক, সময়মতো কৌশল ঠিক থাকলে ‘পালাবদল’ অসম্ভব নয়। শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিজেপি ঠিক কোন পথে হাঁটে, সেই দিকেই এখন তাকিয়ে গোটা বঙ্গ রাজনীতি।