Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ২১ জুলাইয়ের ভিড়ের মধ্যেও মঞ্চে ছড়াল নীরব কান্না! পহেলগাঁও হামলায় নিহত বিতানের পরিবারকে কি শান্তি দিল মমতার আশ্বাস?
রাজ্য

২১ জুলাইয়ের ভিড়ের মধ্যেও মঞ্চে ছড়াল নীরব কান্না! পহেলগাঁও হামলায় নিহত বিতানের পরিবারকে কি শান্তি দিল মমতার আশ্বাস?

21 july mamata
Email :3

২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চে আবেগঘন মুহূর্ত। পহেলগাঁও হামলায় নিহত তৃণমূল কর্মী বিতান অধিকারীর মা ও বাবা (Bitan Adhikari Parents) হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের হাতে তুলে দেন এক লক্ষ টাকার চেক, যা তৃণমূল কর্মীদের তৈরি করা একটি বিশেষ ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থের চেয়েও বড় ছিল মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস—বিপদের দিনে সবসময় তাঁদের পাশে থাকবেন তিনি (Bitan Adhikari Parents) । সেই আশ্বাসই তাঁদের চোখে জল এনে দিল, কাঁদতে বারণ করলেও।

বিতানের মা মায়া অধিকারী (Bitan Adhikari Parents) জানান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বললেন, কাঁদবেন না। কিন্তু আমরা কীভাবে ভুলি আমাদের ছেলেকে!’’ তাঁর সঙ্গে একমত বিতানের বাবা বীরেশ্বর অধিকারীও (Bitan Adhikari Parents) । কথা বলার সময় বারবার গলা ধরে আসছিল তাঁদের। বললেন, ‘‘ছেলে আমাদের সব খরচ চালাত। অন্য একটা ছেলে থাকলেও সে আমাদের খোঁজ নেয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রীই আমাদের সবকিছু দেখছেন।’’

বেহালার বৈশালী পার্কে তাঁদের ছোট্ট বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে মা-বাবা (Bitan Adhikari) জানিয়েছেন, একমাত্র সম্বল বিতানকে হারিয়ে তাঁরা কার্যত ভেঙে পড়েছেন। এই বয়সে তাঁদের দেখার কেউ নেই—শুধু মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া। এলাকার কাউন্সিলর নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন, ওষুধ, খাবারসহ সবকিছুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে দেওয়া হচ্ছে।

সূত্রের খবর, শহিদ দিবসের দু’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন যায় স্থানীয় কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লের কাছে (Bitan Adhikari Parents) । নির্দেশ ছিল, বিতানের বাবা-মাকে শহিদ মঞ্চে নিয়ে আসার সমস্ত দায়িত্ব তাঁর। তবে একটাই শর্ত—পুরো বিষয়টি যেন গোপন রাখা হয়। সেই মতো বিশেষ গাড়ি গিয়ে সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ দুই বৃদ্ধ বাবা-মাকে তুলে আনে শহিদ মঞ্চে।

একদিকে উৎসবের আবহ, অন্যদিকে শহিদ পরিবারের এমন হৃদয়বিদারক কাহিনি—এই দুই বিপরীত চিত্র একত্রে দেখা গেল ধর্মতলায়। এবং ঠিক সেই মঞ্চেই দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আমরা আপনাদের পাশে আছি। কিন্তু আজ, এই শহিদ দিবসে কাঁদবেন না। মাথা উঁচু করে থাকবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts