দু’দুটি দামী হীরের আংটি ছিল ড্রয়ারে, চোখের পলকে গায়েব হয়ে গেল সেই গয়না। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুরের জয় কুল্লা মোল্লা রোডে (Behala)। চুরির শিকার ব্যবসায়ী পরিবার জানাচ্ছেন, ঘরে প্রবেশ করেনি কোনও বহিরাগত। কোনও চোর বা ডাকাতও নয়। তবু হীরের আংটি দু’টি উধাও হয়ে যাওয়া ঘিরে গভীর রহস্য তৈরি হয়েছে (Behala)। ওই দুটি আংটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বলে দাবি করেছেন গৃহস্বামী মুন্সি নিজামউদ্দিন।
ঘটনার বিষয়ে ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ (Behala) জানানো হয়েছে। তবে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবার আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই দম্পতি।
ঘটনার দিন দুপুরে বাড়িতে ছিলেন না নিজামউদ্দিন (Behala)। বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী সিম্মি ইয়াসমিন এবং তাঁদের দুই সন্তান। স্নান করানোর জন্য বাচ্চাদের নিয়ে বাথরুমে যান সিম্মি। সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বেহালার একটি আয়া সেন্টার থেকে আসা এক আয়া। ড্রয়ারেই রাখা ছিল দু’টি হীরের আংটি।
স্নানের সময় আচমকাই ওই আয়া জানান, তাঁর কাজ শেষ, তিনি যাচ্ছেন। সিম্মিও অনুমতি দেন। কিন্তু বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে যখন আংটি পড়তে যান, তখনই আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন তিনি। ড্রয়ারে নেই হীরের আংটি দুটি!
প্রথমে ভাবেন ভুল করে অন্য কোথাও রেখেছেন। পরে খুঁজেও না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেন, পরের দিন কাজের মেয়েটি এলে জিজ্ঞেস করবেন। কিন্তু সেখানেই আসে সবচেয়ে বড় চমক—আর কোনও দিনই কাজে আসেননি ওই আয়া। তার পর থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধে।
এরপর পরিবারের তরফে চেক করা হয় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ। দেখা যায়, যে সময়ের মধ্যে চুরি হয়েছে, সেই সময় ঘরে আর কেউ প্রবেশ করেনি। শুধু ওই আয়া ছিলেন বেডরুমে। তাই প্রাথমিকভাবে সন্দেহের তীর তাঁর দিকেই। অভিযোগ দায়ের হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেপ্তারি বা তল্লাশির খবর নেই।
এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই দম্পতি। তাঁদের বক্তব্য, “আমরা বারবার বলেছি, সব প্রমাণ তুলে দিয়েছি, তবুও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।” তাই আগামী সোমবার তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নিতে আলিপুর কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
এই মুহূর্তে এলাকার বাসিন্দারাও ব্যাপক চাঞ্চল্যে। প্রশ্ন উঠছে—বিশ্বাস করে বাড়িতে আনা কাজের মানুষ যদি এমন বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তবে কি করে নিরাপদে রাখা যাবে মূল্যবান সম্পত্তি?