Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • অনুপ্রবেশের পর আয়ুষ্মান কার্ড! বাংলায় বাংলাদেশিদের জন্য খুলে গিয়েছে নথি তৈরির কারখানা?
রাজ্য

অনুপ্রবেশের পর আয়ুষ্মান কার্ড! বাংলায় বাংলাদেশিদের জন্য খুলে গিয়েছে নথি তৈরির কারখানা?

Email :22

একটি সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই ফাঁস হয়ে গেল অবৈধ অনুপ্রবেশ (Bangladeshi) এবং জাল নথি তৈরির চাঞ্চল্যকর চক্র। কলকাতার কালীঘাট থানার তদন্তকারীরা গ্রেফতার করলেন এক বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক ও তাঁকে একাধিক সরকারি নথি জালিয়াতির মাধ্যমে ‘ভারতীয়’ পরিচয় পাইয়ে দেওয়া এক চক্রকারকে। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে— সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের পর মাত্র এক বছরের মধ্যে কীভাবে এক ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্বাস্থ্য কার্ড-সহ এত সরকারি নথি বানিয়ে ফেলল, এবং তা দিয়ে নির্বিঘ্নে কলকাতা শহরে জীবন কাটাতে শুরু করল?

ঘটনার সূত্রপাত ১৮ মে, ২০২৫-এ। কলকাতার নেতাজিনগর থানা এলাকায় কলকাতা পুলিশের এক এএসআইয়ের মোটরবাইকে ধাক্কা মারে একটি চারচাকা গাড়ি। তৎক্ষণাৎ গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের পরিচয় দেয় আজাদ শেখ (Bangladeshi) নামে। তদন্তকারীরা তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করে দেখেন, সেটি ভুয়ো। এরপরই আজাদ শেখ স্বীকার করে, সে বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক এবং তার প্রকৃত বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল আজাদ। এরপর উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটের বাসিন্দা জাফর আলি শেখ নামের এক ব্যক্তির সাহায্যে সে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ একাধিক সরকারি পরিচয়পত্র বানিয়ে নেয়। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্স নয়— আজাদের কাছ থেকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। সেই কার্ডের ভিত্তিতে সে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও ভোগ করছিল বলে অভিযোগ।

এই তথ্য জানার পর তদন্ত আরও গভীরে নামে কালীঘাট থানার অফিসাররা। ন্যাজাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাফর আলি শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একাধিক নথিপত্র ও কম্পিউটার সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জেরা করে জানা গিয়েছে, জাফর দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। শুধু আজাদ নয়, আরও একাধিক বাংলাদেশিকে ভারতীয় নাগরিক সাজিয়ে সরকারি নথি তৈরি করে দিয়েছে সে। তদন্তকারীরা এখন জাফরের তৈরি করা জাল নথির উৎস, নেটওয়ার্ক এবং এর সঙ্গে যুক্ত আরও কারা রয়েছেন, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন।

ধৃত দু’জনকেই আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। জাফরকে জেরা করে পুলিশ খতিয়ে দেখছে— কীভাবে এই জালিয়াত চক্র এত নিখুঁত নথি বানাতে সক্ষম হল এবং এই চক্রের পিছনে কোনও বড়সড় রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক আশ্রয় রয়েছে কি না।

এই ঘটনার পর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া ও সরকারি প্রকল্পে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ ঠেকাতে কেন্দ্র ও রাজ্য, উভয়কেই কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts