রবীন্দ্রনগরের অশান্তির রেশ ছড়িয়ে পড়ল বিধানসভাতেও (Assembly Hall)। বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। মুর্শিদাবাদের একটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিজেপি বিধায়করা মুলতুবি প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপর রবীন্দ্রনগরের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ফের আলোচনা চায় বিজেপি। সেই প্রস্তাবও স্পিকার মানেননি (Assembly Hall)। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন। বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার (Assembly Hall) ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। কার্যসূচির কাগজ ছিঁড়ে উড়িয়ে দেন তাঁরা। কেউ কেউ তুলসি মঞ্চের পোস্টার দেখিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। ৫০ মিনিট ধরে এই বিক্ষোভ চলে। তার মধ্যেই অধ্যক্ষ অধিবেশন চালিয়ে যেতে থাকেন। তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, অপূর্ব সরকাররা বক্তব্য রাখেন। স্পিকার বলেন, “এভাবে বিধানসভা অচল করে দেওয়া যাবে না।”
বিক্ষোভ এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, তৃণমূলের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এসে স্পিকারের পাশে দাঁড়ান। নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে ফেলেন স্পিকারের আসন। এরপর অধিবেশনের বাইরে চলে যান বিজেপি বিধায়করা। মূল ফটকের সামনেই ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। দিতে থাকেন ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানও।
তাঁরা মিছিল করে রাজভবনের দিকে রওনা দেন। তাঁদের দাবি, রবীন্দ্রনগরের আইসি মুকুল মিঞাকে অপসারণ ও গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবি নিয়ে তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চান। শুভেন্দু আগেই দাবি জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল যেন রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।