বাঁকড়ার পর্নোগ্রাফি চক্রে অবশেষে গ্রেফতার হল অন্যতম অভিযুক্ত আরিয়ান খান (Ariyan Khan)। ইতিমধ্যেই তাঁর মা শ্বেতা খানকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, মা-ছেলে যৌথভাবে পর্নোগ্রাফি চক্র চালাতেন। এক যুবতীকে জোর করে বারে নাচাতে বাধ্য করা, শারীরিক নির্যাতন ও পর্ন কনটেন্ট তৈরির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সেই যুবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় আরিয়ান খান (Ariyan Khan) স্বীকার করেছেন যে তিনি ও ওই যুবতী একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন সিমলা, মানালি ও দিল্লি। আরিয়ানের দাবি, ওই সময় যুবতীর মুখে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তাঁর কথায়, যুবতী স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন এবং তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি, কারণ যুবতী হিন্দু এবং বিবাহিত, এমনকী তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে।
আরিয়ানের (Ariyan Khan) দাবি, ওই যুবতীর সঙ্গে কোনও রকম জোরজবরদস্তি করা হয়নি। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, মুখে আঘাতের জন্য তাঁর মা দায়ী নন। বরং যুবতীর মুখে বারবার চুল পড়ায়, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মা শ্বেতা চুল কেটে দেন।
অন্যদিকে, যুবতীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁকে মারধর করা হতো, জোর করে বারে নাচতে বাধ্য করা হতো, এমনকী তাঁর গোপনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ধর্ষণ, নিপীড়ন, অপহরণসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শ্বেতার বাড়ির পিছন থেকে পাওয়া গিয়েছে সেই যুবতীর কাটা চুলও।

পর্নোগ্রাফির অভিযোগে জেরার সময় আরিয়ান দাবি করেন, তাঁরা কোনও পর্ন ভিডিও বানাতেন না। বরং নিজেরাই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে কিছু ভিডিও তৈরি করেছিলেন, ভবিষ্যতে ইউটিউব থেকেই রোজগারের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তিনি আরও বলেন, মুম্বইয়ে একটি জায়গায় চাকরি করতেন, করোনা পরবর্তী সময়ে বাঁকড়ায় ফিরে ইউটিউবের কনটেন্ট বানানো শুরু করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরার পরই পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার তাঁর মা শ্বেতাকেও গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত চলছে।