২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি—দুই শিবিরই এখন কার্যত যুদ্ধ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। পাখির চোখ শুধুই নবান্ন দখল। বিহারের এসআইআর-কে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই পথে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা কীভাবে জবাব দেবে বিজেপি, তা নিয়েই বুধবার রাতে দিল্লিতে বসে টানা বৈঠক করল বঙ্গ বিজেপি (Amit Shah)।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সরাসরি নির্দেশে এই বৈঠক হয় বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দিল্লির বাসভবনে। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক সাংসদ। বৈঠকের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল—সংসদের ভেতরে ও বাইরে সমন্বয় রেখে লোকসভা এলাকাগুলিতে কীভাবে দলীয় প্রচার তীব্র করা হবে তার বিস্তারিত রূপরেখা।
সূত্রের খবর (Amit Shah) , এর আগে জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য ও সুকান্ত মজুমদারকে অমিত শাহ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন—এসআইআর ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপির প্রচার পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তাঁকে দ্রুত জানাতে হবে (Amit Shah) । সেই নির্দেশ মেনেই পরবর্তী কৌশল স্থির করতে আবারও সাংসদ ও জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন সুকান্ত-শমীক জুটি।
বুধবার রাতের বৈঠকে প্রতিটি সাংসদের লোকসভা এলাকায় কীভাবে সংগঠনকে সক্রিয় করা হবে, ভোটের আগে কোন কোন ইস্যুতে প্রচারে জোর দেওয়া হবে এবং তৃণমূলের সংসদে ধারালো আক্রমণের পাল্টা কীভাবে দেওয়া হবে, তার খুঁটিনাটি আলোচনা হয়। পাশাপাশি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার ঘটনাসহ রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক ইস্যু সংসদে তুলতে বঙ্গ বিজেপি সাংসদরা কীভাবে সমন্বিতভাবে কাজ করবেন, তাও এই বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে।