রবিবার দুপুরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিজেপির এক সাংগঠনিক সভায় অংশ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রার্থী আশিস ঘোষ (Amit Shah)।
সভা শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, বিধানসভায় শুভেন্দুকে দেখলেই দিদি ভয় পান। হিংসা ছাড়া ভোট হলে তৃণমূলের আসল অবস্থা প্রকাশ্যে আসবে। তাঁর দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে এবং যারা বিজেপি কর্মীদের মারধর ও খুন করেছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
শাহ (Amit Shah) বলেন, ভারত যেভাবে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করেছে, তা গর্বের বিষয়। তিনি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের জন্য অপারেশন ‘সিঁদুর’ নিয়ে রাজনীতি করছেন।
বাংলার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল নেতাদের আশীর্বাদে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বহু অনুপ্রবেশকারী ঢুকছে, শুধু ভোটব্যাঙ্ক বজায় রাখতে। তিনি বলেন, এটি বেশিদিন চলবে না।
বিজেপির ভবিষ্যৎ জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে শাহ জানান, ২০১৭ সালের পর বিজেপি ক্রমশ এগিয়েছে। ২০২১-এ ৭৭টি বিধানসভা আসনে জয় পেয়েছে, আর ২০২৪-এর লোকসভায় ১৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। তাই বিজেপি সরকার গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
শেষে, মুর্শিদাবাদ ও সন্দেশখালির হিংসার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারকে দায়ী করেন শাহ। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের মদতেই এই হিংসা হচ্ছে। কেন্দ্র বিএসএফ মোতায়েনের পরামর্শ দিলেও রাজ্য তা মানেনি। তিনি বলেন, হিন্দুদের রক্ষা করেছে বিএসএফ, আর রাজ্যের মন্ত্রীরা সাম্প্রদায়িক হিংসায় জড়িত।
