শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের ভিতরে যেমন তর্ক-বিতর্কের উত্তাপ ছিল, তেমনই সংসদের বাইরেও একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিভিন্ন সাংসদ। সেই তালিকায় বারবার উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের নাম। কখনও সংসদ ভবনের মধ্যে নাচের মহড়া, কখনও বিজেপি সাংসদের পরিবারের অনুষ্ঠানে নাচ, আবার কখনও সংসদের ভিতরে ও বাইরে ধূমপান বা ই-সিগারেট ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা হয়েছে (Abhishek Banerjee)।
এই আবহে এবার দলের সাংসদদের ব্যক্তিগত আচরণ ও জীবনযাপন নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দলের অনুমতি না নিয়ে অন্য দলের নেতা বা সাংসদদের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে যাওয়া ঠিক নয়। একইভাবে দলের অনুমতি ছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়াও গ্রহণযোগ্য নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বক্তব্য, কোনও সাংসদের ব্যক্তিগত আচরণের জন্য যেন দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না হয়। কারও নাম না করে তিনি এই কড়া বার্তা দেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
সূত্রের দাবি, সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বিজেপি সাংসদ ও শিল্পপতি নবীন জিন্দলের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে দেখা যায়। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত এবং এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও। এই ঘটনা নিয়ে দলের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, দলের অনুমতি ছাড়া শরদ পওয়ারের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের ভূমিকা নিয়েও।
এছাড়া হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন বলে খবর। সংসদের ভিতরে দুই তৃণমূল সাংসদের ই-সিগারেট ব্যবহারের ঘটনাও নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। এই সব বিষয় মাথায় রেখেই সাংসদদের সতর্ক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে একইসঙ্গে তিনি সংসদে দলের সাংসদদের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিষয়টি আরও জোর দিয়ে সংসদে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল সাংসদদের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অভিষেক।









