ভোটের মাস এখনও বাকি প্রায় এক বছর, কিন্তু তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলার রাজনৈতিক আবহ। ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে বারুইপুর পূর্ব ও ময়না কেন্দ্রের দুই ERO এবং দুই AERO-কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিযোগ করলেন, নির্বাচন কমিশন এক্তিয়ার ছাড়িয়ে গিয়ে কাজ করছে এবং রাজ্য সরকারের কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা সৃষ্টি করছে।
দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাজ তখনই শুরু হয়, যখন আদর্শ আচরণবিধি জারি হয়। এখন তো ভোটে এখনও ১০-১১ মাস বাকি। অথচ কমিশন এখনই যেভাবে হস্তক্ষেপ করছে, তা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।”
তিনি (Abhishek Banerjee) আরও অভিযোগ করেন, “কমিশনের এই ভূমিকা বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। যাতে বাংলা ভাষায় কথা বলা সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ না করতে পারেন, সেই ছক কষছে বিজেপি আর তার হাতিয়ার এখন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ ভূমিকা নজিরবিহীন।”
এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বিজেপির বিরুদ্ধে বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করারও অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, “২০২১ সাল থেকে একাধিক বার দেখা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চ থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ এসেছে। বিজেপি সেই রায়কে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছে। এবার ভোটের আগে একই কৌশলে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বারুইপুর পূর্ব কেন্দ্রের ERO দেবত্তম দত্ত চৌধুরী, AERO তথাগত মণ্ডল, ময়না কেন্দ্রের ERO বিপ্লব সরকার এবং AERO সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো হয়েছে চিঠিও।
এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, “শাস্তি দেব না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জীবন দিয়ে রক্ষা করব।”