মহেশতলার (Maheshtala) অশান্তির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে স্পষ্টভাবে বলেছেন, যাঁদের দোকান কিংবা বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, তাঁদের সবরকম সাহায্য করতে হবে। তাঁর নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা মাঠে নেমে ক্ষতিগ্রস্তদের (Maheshtala) পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন মহেশতলার (Maheshtala) আক্রান্ত সন্তোষপুর এলাকায় হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি। সকালে একটি ফলের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়, যা দ্রুত হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষে পরিণত হয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় ভয়াবহ ভাঙচুর। বাড়ির ছাদ থেকে ইট-পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। উপস্থিত ছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ সহ একাধিক শীর্ষ পুলিশকর্তা।
কিন্তু পরিস্থিতি (Maheshtala) এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এক বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। লাঠিচার্জ করতেও বাধ্য হয় পুলিশ। এই ঘটনায় একাধিক পুলিশকর্মী আহত হন। একই সঙ্গে এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ঘটনার জেরে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনে বড়সড় রদবদল হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঞাকে সরিয়ে দার্জিলিংয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁর জায়গায় নতুন আইসি হয়েছেন রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজন কুমার রায়। মহেশতলার এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লাকেও সরিয়ে দিয়ে তাঁকে থার্ড ব্যাটেলিয়নের এসিপি পদে পাঠানো হয়েছে। নতুন এসডিপিও হয়েছেন রেজাউল কবির, যিনি এর আগে রবীন্দ্রনগরের আইসি ছিলেন।
এই রদবদলের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি নিছকই একটি রুটিন বদলি।