ধর্মতলায় আজ ২১ জুলাই (21 July) শহিদ দিবসের মূল সভাস্থলে পৌঁছালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেগঘন পরিবেশে তিনি স্বাগত জানান পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় শহিদ হওয়া বিতান অধিকারীর পরিবার এবং জম্মু-কাশ্মীরে দেশের সেবায় প্রাণ হারানো তেহট্টের শহিদ জওয়ান ঝণ্টু আলি শেখের পরিবারকে। উপস্থিত জনতার করতালির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই পরিবারকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান (21 July)।
সেইসঙ্গে, এই দুই শহিদ পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (21 July) ঘোষণা করেন ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা। তিনি জানান, দলের প্রতিটি কর্মী ১ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন, আর সেই অর্থেই এই সহায়তা। তাঁর কণ্ঠে ছিল গর্ব ও কৃতজ্ঞতা—দেশের জন্য শহিদ হওয়া এই বীরদের পরিবার যাতে কোনওভাবেই অবহেলিত না হন, তার বার্তা স্পষ্ট দিলেন মমতা।
সভামঞ্চে (21 July) কেন্দ্র সরকারকে একহাত নেন রাজ্যের ক্রীড়া ও পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “একশো দিনের কাজের টাকা হোক বা বাংলার ঘর প্রকল্প—সব ক্ষেত্রেই বাংলাকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই আচরণ একপ্রকার পরিকল্পিত বৈষম্য।”
অপরদিকে, শহিদ দিবসের মঞ্চে (21 July) দাঁড়িয়ে সোজাসাপ্টা ভাষায় বক্তব্য রাখেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বিজেপি যখন থেকে কেন্দ্রে এসেছে, তখন থেকেই দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো হচ্ছে। এটা স্বামী বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথের বাংলা। এখানে বিভেদের রাজনীতি চলবে না।”
তিনি নিজের বক্তব্যে আরও বলেন, “আমি বাংলায় কথা বলি, এটাই যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে বাংলাদেশে পাঠানোর হুমকি দিক বিজেপি। বরং আমায় ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিক। ভয় দেখিয়ে এই বাংলা চুপ থাকবে না।” পাশাপাশি তিনি শ্রমজীবী মানুষদের জন্যও বার্তা দেন, “যাঁরা বাইরে কাজ করতে যান, তাঁরা আমাদের ভাই। আবার অন্য রাজ্য থেকে যারা বাংলায় এসেছেন, তারাও আমাদের ভাই। বাংলা সকলের মিলনের জায়গা—এটাই আমাদের বার্তা।”
২১ জুলাইয়ের সভা এবছর শুধুই স্মরণ নয়, বরং ছিল প্রতিবাদের, সংহতির, এবং রাজনৈতিক বার্তার এক ঐক্যবদ্ধ উচ্চারণ।