Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • ৯,০০০ কোটি ঋণ, ৬০তম জন্মদিনে রাজকীয় পার্টি — মালিয়ার নতুন কৈফিয়ত
ব্যবসা

৯,০০০ কোটি ঋণ, ৬০তম জন্মদিনে রাজকীয় পার্টি — মালিয়ার নতুন কৈফিয়ত

Email :9

“আমি ৩,০০০ কোটি টাকা নিজের পকেট থেকে দিয়েছি, আমি ক্ষমা চাইব কেন?”বিজয় মালিয়া (Vijay Mallya) শেষমেশ মুখ খুললেন কিংফিশার এয়ারলাইন্স কেলেঙ্কারির বিষয়ে। ভারতের বিতর্কিত শিল্পপতি ও ‘লিকার ব্যারন’ খ্যাত বিজয় মালিয়া (Vijay Mallya) সম্প্রতি এক খোলামেলা সাক্ষাৎকার দেন রাজ শামানির পডকাস্টে। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয় কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্মীদের প্রতি তার কোনও বার্তা আছে কিনা, সেই হাজারো কর্মী যারা এখনো বহু কোটি টাকার বকেয়া পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

মালিয়ার (Vijay Mallya) সোজাসাপ্টা উত্তর ছিল, “ক্ষমা চাইব কেন? আমি নিজের ৩,০০০ কোটি টাকা ব্যবসায় ঢেলেছি। আমি কেন ক্ষমা চাইব?” তবে যখন শুধুমাত্র কর্মীদের উদ্দেশ্যে কোনও দুঃখ প্রকাশ করতে চান কি না জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি বলেন (Vijay Mallya), “আমি গভীরভাবে দুঃখিত যে এমনটা হয়েছিল। অনেকেই বেতন পাননি, আমি জানি। এর কোনও অজুহাত নেই আমার কাছে।”

তিনি (Vijay Mallya) আরও বলেন, “আমি সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করছি। কিন্তু যারা শুনতে ইচ্ছুক, তাঁদের বলি কর্ণাটক হাইকোর্টে আমি আবেদন করেছিলাম যাতে সেখানে থাকা জমা টাকার থেকে কর্মীদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক ও আদালত, উভয়েই সেটা অনুমতি দেয়নি। আমার হাতে আর কিছু ছিল না।”

পডকাস্টে একটি তীব্র প্রশ্ন আসে, “তাহলে আপনি কীভাবে ৬০তম জন্মদিনে রাজকীয় ভোজসভা করতে পারলেন, যেখানে বিলাসবহুল পার্টি করা হয়েছিল, অথচ কর্মীরা বেতন পাননি?”

জবাবে মালিয়া (Vijay Mallya) বলেন, “এই ঘটনার টাইমলাইনটা বোঝা দরকার। কিংফিশার এয়ারলাইন্স বন্ধ হয় ২০১২ সালে। আর আমার ৬০তম জন্মদিন ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। এর মাঝে আমি কোনওভাবেই অর্থ সংগ্রহ করতে পারিনি কর্মীদের দেওয়ার জন্য, কারণ আমার সব সম্পত্তি তখন জব্দ করা হয়েছিল। কোনও টাকা এলেও, ব্যাংকরা তা নিয়ে যেত। তাই কিছুই করার ছিল না।”

উল্লেখ্য, বিজয় মালিয়ার (Vijay Mallya) বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভারতের একাধিক ব্যাংক থেকে প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন, যা মূলত কিংফিশার এয়ারলাইন্সের নামে নেওয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালে তিনি ভারত ছেড়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং এখন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালিয়া কর্ণাটক হাইকোর্টে দাবি করেন, তিনি যেসব ব্যাংকের কাছে দেনা ছিলেন, তাদের সেই ঋণের টাকা “বহুগুণে ফেরত” দেওয়া হয়েছে। তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ করেন যেন ইউনাইটেড ব্রিউয়ারিজ হোল্ডিংস (UBHL), যা এখন লিকুইডেশনে রয়েছে, এবং তার নিজস্ব অ্যাকাউন্টগুলোর লেনদেনের বিস্তারিত হিসাব দেওয়া হয়।

এই বক্তব্যে মালিয়া চেষ্টা করেছেন তার অবস্থান পরিষ্কার করতে, কিন্তু ভারতীয় সাধারণ জনগণ ও প্রাক্তন কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এখনো বিরাজমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts