বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন করে ঝড় তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক নির্বাহী আদেশে (Executive Order) সই করে তিনি (Donald Trump) ঘোষণা করলেন ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’— অর্থাৎ পালটা শুল্ক নীতি। এর ফলে শুধু ভারতের নয়, একসঙ্গে বহু দেশের উপরেই বিভিন্ন মাত্রায় আমদানি শুল্ক চাপাল যুক্তরাষ্ট্র। কিছু দেশের উপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, আবার নতুনভাবে অনেক দেশকে যুক্ত করা হয়েছে এই করের আওতায়।
ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১ অগস্ট থেকে এই ট্যারিফ কার্যকর হতে পারে, যদিও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, নির্দিষ্ট দিন শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে, আমেরিকায় (Donald Trump) পণ্য রপ্তানি করতে হলে এখন থেকে বহু দেশকে গুনতে হবে অতিরিক্ত শুল্ক। সবচেয়ে বেশি কর চাপানো হয়েছে সিরিয়ার উপর— ৪১ শতাংশ। লাওস ও মায়ানমারকে দিতে হবে ৪০ শতাংশ, সুইৎজারল্যান্ড ৩৯ শতাংশ, ইরাক ও সার্বিয়া ৩৫ শতাংশ শুল্ক দেবে।
ভারতের উপর চাপানো হয়েছে ২৫ শতাংশ শুল্ক, আর এই তালিকায় রয়েছে ব্রুনেই, কাজাখস্তান, মলডোভা ও তিউনেশিয়াও।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের জন্য ধার্য হয়েছে ২০ শতাংশ কর। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, ফিলিপিন্স ও থাইল্যান্ডকে দিতে হবে ১৯ শতাংশ।
ইজরায়েল, জাপান, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, ঘানা সহ একাধিক দেশের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ১৫ শতাংশ শুল্ক।
ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও ফকল্যান্ড আইল্যান্ডের উপর চাপানো হয়েছে সবচেয়ে কম— মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক।
কানাডার উপর সবচেয়ে নজরকাড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। আগের ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে শুল্ক, যুক্তি— বেআইনি মাদক কারবার রোধে কানাডা ব্যর্থ হয়েছে।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) দেশগুলো আপাতত অনেকটাই ছাড় পাচ্ছে। যেসব পণ্যের উপর ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য ছিল, সেগুলিকে এই তালিকা থেকে আপাতত বাদ রাখা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। একদিকে বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে বাণিজ্য সম্পর্কের টানাপড়েন— সামনে কঠিন সময় আসছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।