সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বলিউডে বায়োপিকের রমরমা বেড়েই চলেছে। কখনও কোনও ক্রীড়াবিদ, কখনও বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আবার কখনও গ্ল্যামার জগতের নেপথ্য কাহিনি উঠে এসেছে রূপোলি পর্দায়। এবার সেই তালিকায় যোগ হল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নাম (Yogi Adityanath Biopic)। চলতি বছরের মার্চ মাসে ঘোষিত হয়েছিল তাঁর জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি হিন্দি সিনেমার কথা (Yogi Adityanath Biopic)। নাম— ‘অজেয়: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ আ যোগী’। পোস্টার প্রকাশের পরেই ছবিটি (Yogi Adityanath Biopic) ঘিরে তৈরি হয় তুমুল উত্তেজনা ও কৌতূহল।
নির্মাতাদের দাবি, এই সিনেমা (Yogi Adityanath Biopic) শুধুই একজন মুখ্যমন্ত্রীর গল্প নয়— এটি এক সংযমী সন্ন্যাসী থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতায় উত্তরণর এক অনুপ্রেরণামূলক সফর। এমন জীবনকাহিনি (Yogi Adityanath Biopic) নাকি হার মানাবে যেকোনও বাণিজ্যিক ছবির চিত্রনাট্যকেও। কিন্তু, ঠিক সেখানেই এসে বাধ সাধল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC)। অভিযোগ, সেন্সর বোর্ড ছবিটি না দেখেই ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করেছে।
এই অন্যায্য সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্মাতারা এবার দ্বারস্থ হয়েছেন বম্বে হাইকোর্টের। আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ছবির ভিত্তি যে বইটি, সেটি গত আট বছর ধরে বাজারে রয়েছে, এবং সেটিকে নিয়েই কোনও আপত্তি ওঠেনি। তাহলে সেই বই অনুসরণ করে নির্মিত চলচ্চিত্রকে ছাড়পত্র দিতে আপত্তি কেন?
এই মামলার শুনানি হবে শুক্রবার, ১ আগস্ট। জানা গিয়েছে, বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে এবং নীলা গোখলের বেঞ্চ ইতিমধ্যেই সিবিএফসি-র কাছে কারণ জানতে চেয়ে একটি নোটিস পাঠিয়েছে। নোটিসে প্রশ্ন করা হয়েছে, কোনও সিনেমা না দেখে কীভাবে তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়?
বিষয়টি নিয়ে বলিউডের অন্দরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। অনেকেই বলছেন, একজন মুখ্যমন্ত্রীর জীবনী নিয়ে তৈরি সিনেমা আটকানো মানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। অন্যদিকে, সেন্সর বোর্ডের তরফে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
যোগীর এই বায়োপিক ঘিরে এখন সবার নজর আদালতের দিকে। শুক্রবারের রায় কী দাঁড়ায়, তার উপরই নির্ভর করছে ‘অজেয়’র ভবিষ্যৎ।