Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিনোদন
  • “উলঙ্গ করে হাঁটতে বাধ্য করেছিলেন ডিম্পল”—মা সম্পর্কে বিস্ফোরক টুইঙ্কল খান্না!
বিনোদন

“উলঙ্গ করে হাঁটতে বাধ্য করেছিলেন ডিম্পল”—মা সম্পর্কে বিস্ফোরক টুইঙ্কল খান্না!

twinkle khanna
Email :14

বলিউডের গ্ল্যামার জগতের আলোচিত মা-মেয়ের গল্পে লুকিয়ে আছে ভয়ানক এক অধ্যায়। অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না (Twinkle Khanna) একসময় প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন—মা ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেই সুখকর ছিল না। কঠোর শাসনের জন্য ছোটবেলায় মাকে একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না টুইঙ্কল (Twinkle Khanna) । এমনকি, প্রকাশ্যে মাকে বলেছিলেন “নিষ্ঠুর”।

১৯৯৭ সালের আনন্দলোক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। টুইঙ্কলের (Twinkle Khanna) শৈশবের একটি ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে নিজেই নাকি স্বীকার করেছিলেন তিনি। বয়স তখন মাত্র চার। একবার এক অচেনা মানুষকে গালাগাল দিয়েছিলেন টুইঙ্কল (Twinkle Khanna) । বিষয়টি জানতে পেরে ডিম্পল রীতিমতো ক্ষেপে ওঠেন। মায়ের রাগে সেদিন ছোট্ট টুইঙ্কলকে শুধু বেধড়ক মারধরই করা হয়নি, বরং শাস্তি দিতে প্যান্ট খুলে উলঙ্গ করে সকলের সামনে হাঁটতে বাধ্য করেছিলেন মা ডিম্পল। সেই অপমান আর ভয়ের ক্ষত টুইঙ্কল বহুদিন বয়ে বেড়িয়েছেন।

সেই সময়ের রাগ ও ক্ষোভ তিনি অনেকবারই প্রকাশ্যে বলেছেন। তবে আজ ছবিটা বদলে গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মা-মেয়ের দূরত্ব কমেছে অনেকটাই। এখন দু’জনে একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যান, শপিং করেন, একান্তে সময় কাটান। টুইঙ্কল এখন মায়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন। কিন্তু শৈশবের ভয়ঙ্কর স্মৃতি তাঁকে অনেকদিন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে।

টুইঙ্কল খান্না বলিউডের এক তারকা সন্তান। বাবা রাজেশ খান্না, মা ডিম্পল কাপাডিয়া—দু’জনেই কিংবদন্তি অভিনেতা। বলিউডে টুইঙ্কলও এসেছিলেন অভিনেত্রী হিসেবে। ‘বরসাত’, ‘মেলা’, ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে বেশিদিন টেকেনি সেই যাত্রা। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি অভিনয় ভালোবাসি না।” এরপর সিনেমা ছেড়ে লেখালিখিতেই মন দেন। ‘মিসেস ফানিবোনস’ আর ‘দ্য লেজেন্ড অফ লক্ষ্মীপ্রসাদ’-এর মতো বই লিখে লেখক হিসেবে পরিচিতি পান।

অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের সংসার টুইঙ্কলের। দুই সন্তান আরভ আর নিতারাকে মানুষ করার দায়িত্বের পাশাপাশি লেখালিখিই এখন তাঁর পরিচয়। তবে শৈশবের সেই বিতর্কিত স্মৃতি এখনও আলোচনায় আসে বারবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts