টলিউডে (Tollywood) ফের নেমে এল শোকের মেঘ। মাত্র ৪০ বছর বয়সে চলে গেলেন জনপ্রিয় চিত্রগ্রাহক সৌম্যদীপ্ত গুইন, যাঁকে ইন্ডাস্ট্রির সবাই ‘ভিকি’ নামেই চিনতেন। শনিবার সকালে কসবার বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথম নজরে মনে হলেও এটি আত্মহত্যা, তবুও গোটা ঘটনা ঘিরে নানারকম প্রশ্ন উঠছে (Tollywood)। ইতিমধ্যেই দেহ পাঠানো হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য।
পরিবারের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে প্রবল মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সৌম্যদীপ্ত (Tollywood)। কাজের চাপ, অনিয়মিত সময়সূচি আর ব্যক্তিগত দুশ্চিন্তা—সব মিলেই ভিকির মন যেন ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছিল। স্ত্রী ও এক সন্তানকে রেখে তিনি যে এমন চরম সিদ্ধান্ত নেবেন, তা কেউই ভাবতে পারেননি।
ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর পরিচয় ছিল অত্যন্ত মেধাবী, শান্ত ও মনোযোগী কর্মী হিসেবে। বহু বছর ধরে চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর সঙ্গে কাজ করেছেন ভিকি। সর্বশেষ তিনি কাজ করেন রাজা চন্দর ছবিতে—‘হালুম’। সমসাময়িক বাংলা ছবিতে তাঁর ক্যামেরা ছিল আলাদা পরিচয়ের। তাই তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে চমকে গিয়েছেন সহকর্মীরা (Tollywood)।
চিত্রগ্রাহক গিল্ডের সম্পাদক স্বপন মজুমদার জানিয়েছেন, গিল্ডের পক্ষ থেকে ভিকির পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হবে এবং আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হবে। সহকর্মীদের মতে, “অপরিসীম পরিশ্রম করতেন ভিকি। কাজের মধ্যেই ডুবে থাকতেন। এমন মানুষের এত তাড়াতাড়ি হারিয়ে যাওয়া মেনে নেওয়া কঠিন।”
তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত? কী কারণে এত তীব্র মানসিক চাপ? ব্যক্তিগত জীবনে কি কিছু সমস্যা ছিল? নাকি কাজ সংক্রান্ত কোনও অস্বস্তি?—এসব প্রশ্ন এখন ঘুরছে টলিউড মহলে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ এবং পরিবার থেকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃত্যুর কারণ।
টলিউডে এই মৃত্যু আর এক নতুন ধাক্কা। ক্যামেরার পেছনে থাকা এই শিল্পীর আলো নিভে গেলেও তাঁর কাজ, তাঁর ফ্রেম, তাঁর তুলির মতো ছবি—সবই রয়ে যাবে বাংলা সিনেমার স্মৃতিতে।












