Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিনোদন
  • মা বিশ্বাস করে ফোন ধরেছিলেন, আজ অ্যাকাউন্টে মাত্র ২২ টাকা! শ্বেতা ভট্টাচার্যের করুণ ভিডিও ভাইরাল!
বিনোদন

মা বিশ্বাস করে ফোন ধরেছিলেন, আজ অ্যাকাউন্টে মাত্র ২২ টাকা! শ্বেতা ভট্টাচার্যের করুণ ভিডিও ভাইরাল!

sweta bhattacherjee
Email :6

অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যের (Sweta Bhattacharyya) পরিবারে নেমে এসেছে এক কঠিন সময়। নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভে এসে অভিনেত্রী জানালেন, তাঁর মা প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই মানসিক ধাক্কায়। ঘটনাটি ঘটে মাত্র কয়েকদিন আগে। শ্বেতা জানিয়েছেন, এই ভিডিও তিনি করেছেন শুধুমাত্র সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য—যাতে কেউ এই ধরনের প্রতারণার শিকার না হন।

শ্বেতা (Sweta Bhattacharyya) জানান, আগের শুক্রবার তাঁর মায়ের মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে ব্যাঙ্ক কর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন, “আপনার KYC আপডেট করতে হবে। কাল ব্যাঙ্কে চলে আসুন।” ফোনটি দ্রুত কেটে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন আসে এবং বলা হয়, “শনিবার ও রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে, তাই আমরা এখনই ফোনে আপনার KYC আপডেট করে দিচ্ছি।”

শ্বেতা(Sweta Bhattacharyya) আগেই তাঁর মাকে সতর্ক করেছিলেন এমন প্রতারণা নিয়ে, এবং স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন কোনও লিঙ্ক বা OTP দিলে যেন না জানান। কিন্তু প্রতারক ব্যক্তি ভিডিও কল করে বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করে। ফোনে বলা হয়, “আমি এখন আপনাকে ভিডিও কল করছি, আপনি ধরুন। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ খুলে নিচের দিকে থাকা তিনটি ডটে ক্লিক করুন।” এরপর বলা হয়, স্ক্রিন শেয়ারে ক্লিক করতে। শ্বেতার মা, না বুঝেই, প্রতারকের কথামতো স্ক্রিন শেয়ার করে দেন (Sweta Bhattacharyya)।

এই একটি ভুলেই সর্বনাশ। শ্বেতা (Sweta Bhattacharyya) বলেন, তাঁর মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে একেবারে সব টাকা তুলে নেওয়া হয়। অ্যাকাউন্টে এখন মাত্র ২২ টাকা পড়ে আছে। শুধু তাই নয়, প্রতারকরা তাঁর বাবার ATM কার্ড নম্বরও চাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সৌভাগ্যবশত, সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

এই ঘটনার পর শ্বেতার (Sweta Bhattacharyya) মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শ্বেতা লাইভে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার মা তো ভাবেনি এমন হবে। সহজেই কাজ হয়ে যাবে ভেবেই ধরেছিল ফোনটা। কিন্তু আজ আমাদের ঘরে অন্ধকার নেমেছে।”

শ্বেতার আবেদন, সবাই যেন খুব সাবধানে থাকেন। কেউ যদি ফোনে KYC বা ব্যাংক সংক্রান্ত কোনও তথ্য চায়, বা স্ক্রিন শেয়ারের অনুরোধ করে, তাহলে তা কখনোই গ্রহণ করা উচিত নয়। ব্যাঙ্ক কখনও এইভাবে কোনও পরিষেবা দেয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts