সালমান খান অভিনীত নতুন ছবি ‘সিকান্দার’ (Sikandar) মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে যায়। এই পাইরেসির কারণে নির্মাতারা বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ছবিটি (Sikandar) প্রায় ৯১ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে এবং এখন প্রযোজক সংস্থা বিমার টাকা পাওয়ার জন্য ইনস্যুরেন্স ক্লেম করতে চলেছে।
Bollywood Hungama-কে দেওয়া একটি সূত্র জানিয়েছে, “একটি নিরীক্ষা চালানো হয়েছিল যাতে এই পাইরেসির পরিমাণ ও ছবির আয়ের ওপর কী প্রভাব পড়েছে, তা বোঝা যায়। Ernst & Young (EnY) একটি বিশদ রিপোর্ট জমা দেয় যেখানে বলা হয়, এই ছবির (Sikandar) মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৯১ কোটি টাকা।”
এই ৯১ কোটি টাকার ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে ছবির সম্ভাব্য আয় ও বাস্তব আয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখে। পাইরেটেড কপি কতবার (Sikandar) ডাউনলোড বা স্ট্রিম হয়েছে, তা হিসেব করে দেখা হয়েছে, এইসব অনলাইন পাইরেসির (Sikandar) জন্য কত টাকা হারিয়েছে সিনেমাটি। সূত্র জানায়, “এই ধরনের নিরীক্ষায় টিকিট বিক্রির তথ্য, ডিস্ট্রিবিউটরের রিপোর্ট এবং পাইরেসির উৎস চিহ্নিত করার জন্য ফরেনসিক বিশ্লেষণ ব্যবহার করা হয়। তাই এই ৯১ কোটি টাকা কোনো অনুমান নয় — এটা পুরোপুরি বাস্তব থিয়েট্রিক্যাল এবং ডিজিটাল আয়ের ক্ষতির হিসেব।”
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পাইরেটেড ভার্সনে এমন কিছু দৃশ্য ছিল যা প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয়নি।
এই দৃশ্যগুলোর মধ্যে ছিল —
- ধারাভির এক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে সিকান্দারের সাক্ষাৎ,
- কামারুদ্দিনের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে একটি বড় ফ্ল্যাশব্যাক,
- রাশমিকার চরিত্রের আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে একটি সংবেদনশীল মুহূর্ত,
- ইন্টারভালের আগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিকোয়েন্স,
- বৈদেহীর আত্মহত্যার চেষ্টা,
- এবং একাধিক ডিলিটেড ক্যাব সিন।
এইসব দৃশ্য প্রমাণ করে, ছবির পাইরেটেড কপি CBFC (সেন্সর বোর্ড) থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই ফাঁস হয়েছে।