আজকের দিনে নায়িকাদের বিকিনিতে দেখা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু ষাটের দশকে ছবিটা একেবারেই আলাদা ছিল। তখন হাতে গোনা কয়েকজন অভিনেত্রীই সাহস করে খোলামেলা পোশাকে পর্দায় আসতেন। সেই সময়েই সকলকে অবাক করে বিকিনি পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Thakur)। কিন্তু কাজটা মোটেও সহজ ছিল না।
এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Thakur) নিজের জীবনের সেই অজানা কাহিনি শেয়ার করেছিলেন। তিনি জানান, ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ ছবিতে তাঁকে বিকিনি পরে শুট করতে হয়েছিল। যদিও পরিচালক তাঁকে কখনও জোর করেননি, নিজের ইচ্ছেতেই তিনি এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। শর্মিলার (Sharmila Thakur) কথায়— “তখন একটা বিকিনি পরা মানেই বিশাল বিতর্ক। ভাবিনি এতটা ঝড় উঠবে! অথচ আমি এটা করেছিলাম শুধুমাত্র দর্শকের জন্য। আমার পরিচালক আমাকে বলেছিলেন, দর্শকের জন্যই আমি আজ এই জায়গায়। তাই তাঁদের চোখে নতুনভাবে ধরা দেওয়াটাই আমার লক্ষ্য ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চাইছিলাম দর্শকের কাছে আরও আকর্ষণীয় হতে, আরও গ্রহণযোগ্য হতে। আর সত্যি বলতে কী, আমি সেটা করতে পেরেছিলাম। ভালই লাগছিল আমার।”
তবে সেই সময় শর্মিলার জীবনে আরেকটা গল্পও ছিল। তখনও তাঁর বিয়ে হয়নি, কিন্তু মনসুর আলি খান পাতৌদির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক চলছিল। হবু শাশুড়ি মা যদি পোস্টার দেখে কিছু মনে করেন সেই ভয়েই শর্মিলা রাতারাতি নিজের ড্রাইভারকে দিয়ে চারপাশের সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। সেই সময় দেশে ছিলেন না পাতৌদি সাহেব। তবে টেলিগ্রামের মাধ্যমে তিনি শর্মিলাকে ভরসা দিয়েছিলেন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সবশেষে শর্মিলা হাসিমুখে স্বীকার করেন— “আসলে ভয়টা একেবারেই অযথা ছিল। আম্মা (শাশুড়ি) এসব নিয়ে কিছুই বলেননি। কোনও ঝামেলাও হয়নি।”