২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লাইভ ইন আ মেট্রো’ ছিল এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা—চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একাধিক মানুষের জটিল জীবন, ভালবাসা, বিচ্ছেদ আর শহরের ক্লান্ত গন্ধ এক সুতোয় বেঁধে ফেলেছিলেন পরিচালক অনুরাগ বসু (Metro In Dino)। সেই সিনেমা আজও বহু মানুষের স্মৃতিতে জায়গা করে নিয়েছে। প্রায় ২০ বছর পর সেই নস্টালজিয়ার আবহে আবার ফিরছেন অনুরাগ, তাঁর নতুন ছবি ‘মেট্রো ইন দিনো’ (Metro In Dino) নিয়ে, যা মুক্তি পেতে চলেছে ৪ জুলাই।
ছবির (Metro In Dino) টিজার বা ট্রেলার এখনও প্রকাশ পায়নি, তবে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির ফার্স্ট লুক, যা ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। টি-সিরিজের পক্ষ থেকে শনিবার যে ভিডিওটি (Metro In Dino) প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে একদিকে যেমন নতুন প্রজন্মের তারকারা রয়েছেন, তেমনই চেনা মুখদের উপস্থিতিও ফের একবার আবেগে ভাসিয়েছে দর্শকদের।
ভিডিওর শুরুতেই দেখা যায় সারা আলি খান এবং আদিত্য রায় কাপুরকে। মেট্রো স্টেশনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দু’জন (Metro In Dino) , কিন্তু চরিত্রে বৈপরীত্ব—আদিত্য প্রেমে পাহাড়ের, সারা শহরের। এছাড়াও রয়েছেন আলি ফজল, ফাতিমা সানা শেখ, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, যিনি আবার কঙ্কনা সেন শর্মার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। আর সেই কঙ্কনাকেই দেখে যেন দর্শকরা ফিরে গেলেন ২০০৭-এর ‘শ্রুতি’র কাছে।
এই ভিডিওতে দেখা যায় প্রত্যেকেই তাদের ভালোবাসা নিয়ে কোথাও না কোথাও জর্জরিত—কেউ কাঁদছেন, কেউ চিৎকার করছেন, কেউ যেন একা হয়ে পড়েছেন শহরের ভিড়ে। সব মিলিয়ে ছবিটি আবারও শহরের প্রেম ও বাস্তবতার গল্প বলবে, তাতে সন্দেহ নেই।
গানের দিক থেকেও ফিরেছে পুরনো ম্যাজিক। অনুরাগ বসু এবং প্রীতমের যুগলবন্দীতে তৈরি হয়েছে ‘জামানা লাগে’ নামের গান, যা গেয়েছেন শাশ্বত সিং ও অরিজিৎ সিং। গানের সুরে, গলায়, আবেগে যেন এক টুকরো পুরনো কলকাতা, মুম্বই বা ব্যস্ত শহরের হাহাকার শোনা যায়।
প্রযোজনায় রয়েছেন ভূষণ কুমার, কৃষ্ণ কুমার, তানি বসু এবং অনুরাগ বসু নিজেই। এই ছবির আরেকটি বড় আকর্ষণ হল অনুপম খের, নীনা গুপ্তা এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মতো শক্তিশালী অভিনেতাদের উপস্থিতি।
তবে এই সিনেমা দেখতে গিয়ে একবার হলেও মনে পড়বে কিংবদন্তি অভিনেতা ইরফান খানের কথা—যিনি ‘লাইভ ইন আ মেট্রো’-তে নিজের অভিনয় দিয়ে সিনেমার হৃদয় হয়ে উঠেছিলেন। আর কে কে -এর সেই চিরসবুজ গান ‘আলবিদা’, ‘ইন দিনো’—স্মৃতির পাতা যেন এক লহমায় খুলে যায়।
এই সিনেমা শুধু একটি প্রেমের ছবি নয়, এটা একসঙ্গে একাধিক প্রজন্মের কাছে স্মৃতি, যন্ত্রণা ও ভালবাসার মেট্রো।