দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) এবং ‘স্পিরিট’ সিনেমা নিয়ে চলা বিতর্কে এবার মুখ খুললেন প্রখ্যাত পরিচালক মণি রত্নম। খবর, দীপিকা (Deepika Padukone) এই ছবিতে কাজ করতে গেলে কিছু শর্ত দিয়েছিলেন— দিনে সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজ এবং পারিশ্রমিক ২০ কোটি টাকা। পাশাপাশি চুক্তিতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মও তিনি রাখতে চেয়েছিলেন। এইসব কারণ দেখিয়ে পরিচালক সান্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা নাকি তাঁকে ‘অপ্রফেশনাল’ বলেন। যদিও দীপিকা (Deepika Padukone) বা সান্দীপ কেউই এখনও সরাসরি এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।
তবে ইন্ডাস্ট্রির একাংশ মনে করছে, মা হওয়ার পর একজন অভিনেত্রীর (Deepika Padukone) নিজের শরীর ও সন্তানের যত্ন নেওয়ার স্বার্থে কাজের সময় সীমিত রাখা একেবারেই যৌক্তিক। এই প্রসঙ্গেই মণি রত্নম News18-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি মনে করি ওর দাবি একদম ঠিক। আমি খুশি যে ও এমন জায়গায় রয়েছে, যেখানে এটা দাবি করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “একজন নির্মাতা হিসেবে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত। এটা কোনও অযৌক্তিক দাবি নয়, বরং এটা একেবারে প্রয়োজনীয়। এটা আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।” এই বক্তব্যে পরিষ্কার, দীপিকার মতো অভিনেত্রীরা যদি মা হওয়ার পর কাজের ঘনত্ব কমানোর দাবি তোলেন, সেটা ‘অপ্রফেশনাল’ নয় বরং ‘সচেতনতা’র পরিচায়ক।
অন্যদিকে, ‘স্পিরিট’ ছবির পরিচালক সান্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা কোনও নাম না করে একটি টুইট করেন, যেখানে তিনি লেখেন— “আমি যখন কাউকে গল্প বলি, তখন ১০০% বিশ্বাস করি। এটা যেন এক অলিখিত NDA-এর মতো। কিন্তু এমন ব্যবহার করে তুমি আসলে তোমার আসল রূপ দেখালে।”
তিনি আরও লেখেন, “তুমি একজন জুনিয়র অভিনেত্রীকে ছোট করলে, আমার গল্প ফাঁস করলে— এটাই কি তোমার নারীবাদের মানে? filmmaking আমার কাছে সব কিছু, তুমি সেটা বুঝবে না।”
এই টুইটের পরেই বোঝা যায়, দীপিকার ছবিটি না করার সিদ্ধান্তে তিনি অসন্তুষ্ট এবং তাঁকে ঘিরেই এই বার্তা।
‘স্পিরিট’ সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন প্রভাস। জানা গিয়েছে, এই ছবিতে থাকবে হেভি অ্যাকশন সিকোয়েন্স ও কিছু ‘বোল্ড’ দৃশ্য, যেখানে প্রধান দুই চরিত্রের মধ্যে থাকবে উত্তেজনাপূর্ণ রসায়ন। দীপিকার জায়গায় বর্তমানে নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী ত্রিপ্তি ডিমরি-কে নেওয়া হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এখন বলছেন, “একজন মা যদি ৮ ঘণ্টার কাজ চায়, সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বরং, সেটা স্বাভাবিক মানবিক দাবি।” কেউ বলেন, “অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত জীবন, মাতৃত্বের সময় যে সহানুভূতি ও সমর্থন প্রাপ্য, তা সকল নির্মাতারই বোঝা উচিত।”