১৯৯৭ সাল। বলিউডে তখন মাত্র ছয় বছর কাটিয়েছেন কারিশমা কাপুর। আর সেই বছরেই তিনি পান জীবনের প্রথম ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। ছবির নাম— দিল তো পাগল হ্যায়। শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে পর্দায় দুর্দান্ত অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি— এই ছবিটিই প্রথমে করতে চাননি কারিশমা (Madhuri Dikshit)!
২০২৪ সালে এক ইভেন্টে কারিশমা নিজেই জানান, “আপনারা হয়তো জানেন বা পড়েছেন… কিন্তু দিল তো পাগল হ্যায় করার প্রস্তাব প্রত্যেক অভিনেত্রীই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমিও। কারণ, কেউই মাধুরী দীক্ষিতের (Madhuri Dikshit) সঙ্গে কাজ করতে চাইছিল না।”
কেন? কারিশমা স্পষ্ট বলেছিলেন— এর পেছনে কোনও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল না। আসল কারণ ছিল ভয়। মাধুরীর (Madhuri Dikshit) নাচের সঙ্গে তাল মেলানো অসম্ভব মনে করতেন সবাই। বিশেষ করে যেখানে ছবিতে নাচের প্রতিযোগিতার দৃশ্য ছিল!
পরে অবশ্য সব বদলায়। ইয়াশ চোপড়া ও আদিত্য চোপড়া আবারও তাঁকে স্ক্রিপ্ট শুনতে বলেন। কারিশমা তখনই রাজি হন। তাঁর কথায়, “আমি ছোটবেলা থেকেই মাধুরীর ভক্ত। এক দো তিন দেখে বড় হয়েছি। স্ক্রিপ্ট শুনেই মনে হয়েছিল, আমাকে এটা করতেই হবে। মা-ও উৎসাহ দিয়েছিলেন।”
এই ছবির জন্যই নায়িকার ভূমিকায় থেকেও নায়ককে না পাওয়া— এমন একটি ভিন্ন চরিত্র করেছিলেন তিনি। আর সেই চরিত্র নিশা হয়ে ওঠে দর্শকের কাছে আইকনিক। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কারিশমা বলেন, “আমি ভাবতেই পারিনি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাব। কিন্তু চরিত্রটা ছিল সময়ের থেকে অনেকটা এগিয়ে।”
মজার ব্যাপার হলো, প্রথমে পূজা-র চরিত্রের জন্য ইয়াশ চোপড়া মাধুরীর পরিবর্তে অফার করেছিলেন শ্রীদেবীকে। কিন্তু তিনি লমহে ছবির সঙ্গে তুলনা করে মনে করেছিলেন চরিত্রটা ততটা শক্তিশালী নয়, তাই রাজি হননি। পরে একে একে মণীষা কৈরালা, জুহি চাওলা, কাজল, রভিনা ট্যান্ডন— অনেকেই ফিরিয়ে দেন নিশা-র চরিত্র। আর শেষে সেই সুযোগ পান কারিশমা, যেটা তাঁর ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে।