দিনটা ছিল ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৬। বলিউড তখনও বিশ্বাস করতে পারছিল না—চলে গেলেন দুর্দান্ত প্রতিভাবান অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল (Smita Patil)। অকালমৃত্যু যেন এখনও হৃদয়ে গভীর ক্ষত এঁকে রাখে। নিয়তির খেলায় মাত্র ৩১ বছর বয়সেই হাসপাতালের বিছানায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Smita Patil)। মৃত্যুর ঠিক আগে শেষবার নিজের সন্তানের মুখ দেখতে চেয়েছিলেন স্মিতা, কিন্তু ভাগ্য তাঁর সেই ইচ্ছাও পূরণ হতে দেয়নি।
স্মিতার জীবন সবসময়ই ছিল অশান্ত (Smita Patil)। কখনও বিবাহিত অভিনেতা রাজ বব্বরের সঙ্গে সম্পর্ক, ভালোবাসা, বিচ্ছেদ আর সমাজের অসম্মান—সবই জড়িয়ে ছিল তাঁর জীবনে। আবার কখনও সংসার আর সন্তানকে ঘিরে গোপনে বুনেছিলেন স্বপ্ন, যা শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায়।
১২ ডিসেম্বরের রাত—সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন স্মিতা। টানা জ্বর, শরীরে দুর্বলতা। সেই সকালে রাজ বব্বর ঘুমে ডুবে আছেন, হঠাৎ নবজাতক ছেলে প্রতীক কান্না শুরু করে। যাতে রাজের ঘুম না ভাঙে, অসুস্থ শরীর নিয়েই শিশুকে কোলে তুলে গায়ে চাদর জড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান স্মিতা। সেই মুহূর্তেও তাঁর মমতা ছিল অক্লান্ত।
কিন্তু দিন গড়াতেই অসুস্থতা বাড়তে থাকে। ডাক্তাররা জানান, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতেই হবে। প্রথমে রাজি হননি স্মিতা—ছোট্ট প্রতীককে ছেড়ে যেতে চাইছিলেন না তিনি। শেষমেশ ভর্তি হতে হয়, আর তার ঠিক পরের দিন, ১৩ ডিসেম্বর, ভোরে ভেসে আসে হৃদয়বিদারক খবর—চলে গেলেন স্মিতা পাটিল।