‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ (Chakdah Express)—ঝুলন গোস্বামীর জীবন অবলম্বনে তৈরি হওয়া এই ছবিকে ঘিরে শুরু থেকেই দর্শকমনে ছিল তীব্র কৌতূহল ও উচ্ছ্বাস। অনুষ্কা শর্মার অভিনয়ে ফুটে উঠবে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি এই পেসারের সংগ্রাম, পরিশ্রম ও সাফল্যের কাহিনি (Chakdah Express)—এই আশাতেই প্রহর গুনছিলেন তাঁর ভক্তরা। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল নেটফ্লিক্সে, এবং গত বছর ক্লিন স্লেট ফিল্মজ প্রযোজনা সংস্থা সেই ঘোষণা করেও ফেলে। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, ততই পিছিয়ে গিয়েছে এই ছবির মুক্তির সম্ভাবনা। এখন দাঁড়িয়ে ছবির ভবিষ্যৎ কার্যত অনিশ্চয়তার অন্ধকারে।
শুধু অনুষ্কা শর্মার অনুরাগীরাই নন, ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এর (Chakdah Express) জন্য নিজেও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মন প্রাণ ঢেলে। শুটিং শুরুর আগেই ক্রিকেটের টেকনিক্যাল দিক, ঝুলনের বোলিং অ্যাকশন, মেজাজ, এমনকি তাঁর প্রিয় খাবার পান্তা ভাতের মতো খুঁটিনাটি বিষয়েও নিজেকে অভ্যস্ত করেছিলেন অনুষ্কা। এত পরিশ্রম ও নিবেদন দিয়ে তৈরি হওয়া এই ছবির মুক্তি যখন একরকম ‘স্থগিত’ হয়ে যায়, তখন হতাশ হন শুধু দর্শক নন, ছবির অভিনেতারাও।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ছবি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, যিনি অনুষ্কার (Chakdah Express) কোচের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি অকপটে জানিয়েছেন, “বাকি দর্শকদের মতো আমিও এই ছবির মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি। আপনি ভাবতেই পারবেন না, আমি কতটা অধীর হয়ে আছি ছবিটা দেখার জন্য।”
তিনি জানান, “আমি ছবিটা প্রসিত রায় (পরিচালক)-এর বাড়িতে দেখেছি। অনেক অনুরোধের পরে ও আমাকে দেখায়। যদিও তখনও ছবির কিছু কাজ বাকি ছিল। আমার মনে হয়, অনুষ্কার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা কাজ এটি। আমি জানি না কেন এই ছবি এখনও মুক্তি পাচ্ছে না। ক্লিন স্লেট আর নেটফ্লিক্সের মধ্যে কী সমস্যা হয়েছে, তাও আমার অজানা। তবে আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে চাই, এই ছবি যেন মুক্তি পায়। কারণ এমন একটি গল্প সকলের সামনে আসা প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, ক্লিন স্লেট ফিল্মজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অনুষ্কা শর্মা নিজেই। তবে গত দু’বছর ধরে সংস্থার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর ভাই কর্ণেশ শর্মা। আর এই প্রযোজনা সংস্থা থেকেই তৈরি হয়েছিল বহু প্রতীক্ষিত ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’। কিন্তু এখন প্রশ্ন একটাই—এই ছবি কি আদৌ মুক্তি পাবে? না কি দর্শকদের স্বপ্ন, অভিনেত্রীর পরিশ্রম সবটাই ঝুলে থাকবে অনিশ্চয়তার গহ্বরে?