বিশ্ব রাজনীতির উত্তাল আবহে আশার সুর শোনালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। মিনস্কে শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক “কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার পথে ফিরছে”, এবং এই ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য তিনি (Putin) বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
পুতিন (Putin) স্পষ্টভাবেই জানান, ট্রাম্পের প্রতি তাঁর “গভীর শ্রদ্ধা” রয়েছে এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, “পুতিন আজ আমার সম্পর্কে খুব সুন্দর কথা বলেছেন,” এবং দাবি করেন, এই ধরনের মন্তব্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে কখনও শোনা যেত না।
ট্রাম্প আরও বলেন, “তিনি (পুতিন) আবার আমেরিকাকে শ্রদ্ধা করছে। এক বছর আগেও সেটা ছিল না। আমি আপনাদের বলতে পারি।”
এই কূটনৈতিক অগ্রগতি সামনে এল এমন এক সময়ে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছেই। ঠিক দু’সপ্তাহ আগেই ট্রাম্প ও পুতিন একটি দীর্ঘ টেলিফোন কথোপকথনে এই দুই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
পুতিনের বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আলোচনার পরবর্তী রাউন্ড ইস্তানবুলে হতে পারে। যদিও সময় ও স্থান এখনও নির্ধারিত হয়নি। পূর্ববর্তী আলোচনাগুলিতে মতপার্থক্য থাকলেও, দুই পক্ষের আলোচকরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান পুতিন।
একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, রাশিয়া (Putin) আরও ৩,০০০ ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত দিতে প্রস্তুত।
ট্রাম্পও আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “আমার বিশ্বাস ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে শীঘ্রই কিছু একটা হতে চলেছে, কোনও না কোনওভাবে এটা মিটে যাবে,”—এ কথা বলেন তিনি পুতিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক ফোনালাপের প্রসঙ্গ তুলে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কথোপকথন এবং কূটনৈতিক ইঙ্গিতের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের রাশিয়া-মার্কিন উত্তেজনার আবহে নতুন মোড় আসতে পারে।