রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বজুড়ে চলতে থাকা উত্তেজনার কারণে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করা যায় না। সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Vladimir Putin) বলেন, “আমি কোনও রকম রসিকতা ছাড়াই বলছি, এই পরিস্থিতি সত্যিই চিন্তার। সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, আমাদের চোখের সামনেই সেটা ঘটছে, এবং সেটি আমাদের প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করছে।”
পুতিন (Vladimir Putin) বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি বলেন, ইজরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনা এবং সামরিক ঘাঁটি আক্রান্ত হয়েছে। এই ধরণের সংঘর্ষ কেবল একটি দেশ নয়, গোটা বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি (Vladimir Putin) বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব শুধু ঘটনাগুলোর উপর নজর রাখা নয়, বরং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা — সবদিক থেকেই।”
১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক বোমা বর্ষণ করে। তার পাল্টা জবাবে ইরানও বহু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইজরায়েলের শহর এবং অবকাঠামোর উপর। এই সংঘর্ষে ইরানে শত শত এবং ইজরায়েলে ডজনখানেক প্রাণহানির খবর মিলেছে, এবং পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই।
জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা IAEA নিশ্চিত করেছে যে ইরানের অন্তর্গত নাতাঞ্জ-এর মতো গোপন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রগুলো সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি কিছু স্থানে রেডিওলজিকাল ও রাসায়নিক দূষণের আশঙ্কাও রয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত আশপাশের এলাকায় রেডিয়েশন স্তর স্বাভাবিক রয়েছে।
ইতিমধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধে জর্জরিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহ এবং হস্তক্ষেপমূলক নীতির কারণেই বিশ্বে আরও বড় যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। “সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ছে, এটা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করবে। এখনই সময় শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোনোর,” — এমনটাই হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।