২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। সেই ঘটনার (Pahalgam Attack) পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে (Pahalgam Attack) উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, “সামরিক উত্তেজনা কোনো সমাধান নয়। উভয় পক্ষকেই সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে হবে (Pahalgam Attack) । যুদ্ধ নয়, শান্তির পথেই ফিরতে হবে।”
জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গুতেরেস বলেন, “অসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করাটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। দোষীদের অবশ্যই আইনত উপায়ে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।” নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব জানিয়েছেন, শান্তি ও কূটনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে যেকোনো শান্তিপূর্ণ প্রয়াসে সমর্থন করতে প্রস্তুত রাষ্ট্রসংঘ।
এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেশের সব রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে মক ড্রিল চালানোর জন্য। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সামরিক প্রস্তুতির খতিয়ান তুলে ধরেছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ.পি. সিং।
অন্যদিকে নৌবাহিনীর প্রস্তুতিও তুঙ্গে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক নৌ মহড়ার জবাবে আরব সাগরে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। পাশাপাশি ফ্রন্টলাইন যুদ্ধবিমানগুলি চালানো হচ্ছে দূরপাল্লার রুটে।
সরকারিভাবে কিছু না জানালেও প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক যে পরিস্থিতির গুরুত্ব বাড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট। ভারত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, সীমান্তপারের যোগসাজশে হওয়া হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোরতম ব্যবস্থা।